স্বামীর হাতে স্ত্রী ও ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
কম্পিউটার ব্যবসায়ীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২২ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
বগুড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন। লক্ষ্মীপুরে উদ্ধার করা হয়েছে এক কম্পিউটার ব্যবসায়ীর লাশ।
বগুড়া অফিস জানায়, মায়া খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূ স্বামীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বারবাকপুর মধ্যপাড়ার বাড়িতে ছুরিকাঘাতের পর গতকাল বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তার স্বামী রাকিবুল হাসানকে (২০) গতকাল সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তারই একপর্যায়ে রাকিবুল হাসান ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর পেটে আঘাত করে। শাশুড়িসহ প্রতিবেশীরা মায়া খাতুনকে উদ্ধার করে টিএমএসএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যায় এবং মায়া খাতুনের জন্য তিন ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করে। কিন্তু তার পরও তাকে বাঁচানো যায়নি। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাকুন্দিয়ায় ছোট ভাই শামসুল মুসলিমিন মতির হাতে খুন হয়েছেন বড় ভাই আলী আসগর মুকুল (৬৫)। বুধবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার চরটেকী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তারা দু’জনই চরটেকী গ্রামের মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে। নিহত আলী আসগর মুকুল পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। এলাকাবাসী ঘাতক শামসুল মুসলিমিন মতিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। উপজেলার চরটেকী গ্রামের আলী আসগর মুকুলসহ ছয় ভাইয়ের সাথে তাদের ছোট ভাই শামসুল মুসলিমিন মতির দীর্ঘ দিন ধরে পৈতৃক জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুকুলের সাথে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে ছোট ভাই মতির কথাকাটাকাটি হয়। বুধবার ভোরে মতি এসে কিরিচ দিয়ে মুকুলকে উপর্যুপরি কয়েকটি আঘাত করে। মুকুলের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে ঘটনাস্থল থেকে মতিকে আটক করে। মুমূর্ষু মুকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক মতিকে কিরিচসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, ঘাতক ছোট ভাই মতিকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা জানান, লক্ষ্মীপুরে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে এক কম্পিউটার ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে সদর উপজেলার কাজির দিঘীর পাড় বাজার থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আলমগীর হোসেন জেলার রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইছা গ্রামের মৃত বশির উল্যাহর ছেলে। তিনি রায়পুর পৌর শহরের শাহী হোটেলসংলগ্ন তানহা কম্পিউটার দোকানের মালিক। এ ছাড়াও তিনি নারকেল-সুপারি, ইট, বালুসহ কয়েকটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। নিহতের স্বজনেরা জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে পাওনা ছয় লাখ টাকা আনতে যান আলমগীর। সন্ধ্যার পর পাওনা টাকা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। অন্য দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে আত্মীয় ও পরিচিতদের বাড়িতেসহ বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে কাজির দিঘীর পাড় এলাকায় বাজারের পাশে একটি পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
সদর মডেল থানার ওসি আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি ও জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা