২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মুন্সীগঞ্জে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি পণ্য

-

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম বাজারে গিয়ে অলি-গলিতে ঘুরে ফিরে দেখা যায়, আব্দুল খালেক, আক্তার হোসেন, সেকান্দার আলীর বেকারিগুলোতে নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যপণ্য। পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে শুরু করে স্কুল গেটের শিশুদের কাছে বিক্রি হয়। এসব বেকারিতে তৈরি ক্রিমবিস্কুট, চানাচুর, কেক ও পাউরুটি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের বাজারে সব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নানা ধরনের খাবার তৈরি হচ্ছে। স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা ও ফাঙ্গাসযুক্ত পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে বেকারিসামগ্রী। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরি খাবার রাখা আছে সেখানেই আটা, ময়দার পাশেই রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ও পোড়া পাম ওয়েলের ময়লাযুক্ত কড়াই। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরি পণ্য। শ্রমিকেরা খালি পায়ে, খালি গায়ে নোংরা পরিবেশে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন। আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করার কড়াইগুলোও অপরিষ্কার। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভনভন করছে। ময়দা মাখানোর জন্য ইট দিয়ে বানানো চৌবাচ্চার মধ্যেই পরে মরে আছে মাছি ও তেলাপোকা। এই নোংরা পরিবেশের বানানো হচ্ছে ক্রিমবিস্কুট। এসব বেকারি মালিকেরা মোড়কবিহীন ভেজাল খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন করছে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। এগুলো বিভিন্ন চায়ের দোকানে সরবরাহ করছে এসব খাদ্যের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ বসানো নেই।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম বাজারে নোংরা পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুতকারী বেকারিগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ এটাই প্রত্যাশা করছে সর্বস্তরের সচেতন মহল।


আরো সংবাদ



premium cement