সৈয়দপুরের হতদরিদ্রদের ৬০ শতক জমি ও ২৫ লাখ টাকা অনুদান
- সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা
- ১২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকার আটকেপড়া উর্দুভাষী ক্যাম্পবাসী হতদরিদ্র মানুষের জন্য নিরাপদ বাসস্থান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সৈয়দপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকারের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টায় এ লক্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সৈয়দপুর নগর উন্নয়ন শ্রমজীবী সমিতি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে পৌর এলাকার প্রায় ২২টি ক্যাম্পসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী হতদরিদ্র মানুষকে একীভূত করে তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ হিসেবে আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনীয় জমি ও অর্থ জোগান দেয়ার সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন পৌর মেয়র। এ দায়িত্ব পালনে পৌর মেয়র তার মায়ের কাছ থেকে কেনা নিজ নামীয় ৬০ শতক জমি যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও ইউডিপির সহায়তায় প্রাপ্ত ২৫ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করেছেন।
এ লক্ষ্যে তিনি গত ৯ জুলাই মঙ্গলবার শহরের সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের গণসাহায্য সংস্থার হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সৈয়দপুর নগর উন্নয়ন শ্রমজীবী সমিতি লিমিটেডের কাছে জমির দলিল ও অর্থের চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র-২ শাহিন আক্তার শাহিন, ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মোস্তাফিজুর রহমান, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর অপূর্ব শাহা, কাউন্সিলর তারিক আজিজ, আবিদ হাসান লাড্ডান, আল মামুন সরকার, কাজী হায়দার, গোলাম মোস্তফা, শাহিন হোসেন, শাহিনুর ইসলাম মিঠু, মহিলা কাউন্সিলর মিনারা বেগম, গোলাহাট ক্যাম্পের তাবাসসুম, হাতিখানা ক্যাম্পের কাইয়ুম, চামড়া গুদাম ক্যাম্পের মাজিদ ইকবাল, মুন্সিপাড়া ক্যাম্পের ফনি, দুর্গা মিল ক্যাম্পের মোহাম্মদ আলী, গোলাহাট-২ নং ক্যাম্পের হামিদা বেগম ও আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, সৈয়দপুর ব্রিটিশ আমলের সিটি শহর। এ শহরের সার্বিক জীবনমান বর্তমানে অনেক উন্নত। সম্প্রতি যেভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে সৈয়দপুরের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন হবে। অথচ এই প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাটির নাগরিকদের একটি অংশ আজও চরম অস্বাস্থ্যকর ও মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে। আটকেপড়া উর্দুভাষী ক্যাম্পবাসী শিক্ষাগত যোগ্যতায় ও পেশাগত দক্ষতায় উন্নত হলেও নিজস্ব সামর্থ্য না থাকায় ক্যাম্পের গণ্ডিবদ্ধ জায়গায় অতি নিম্নমানের পরিবেশে বসবাস করছে। এ থেকে উত্তরণ না ঘটালে সৈয়দপুরের উন্নয়ন সম্পূর্ণ অর্থবহ হবে না। তাই তাদের সার্বিক পরিবর্তন সাধনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাদের মান সম্পন্ন আবাস তৈরির।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা