২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পচা পানির দুর্গন্ধে দুর্বিষহ মানুষের জীবন দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সঙ্কটে চিত্রা নদী ও বহু খাল

চিতলমারী উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীর বর্তমান অবস্থা : নয়া দিগন্ত -

দখল ও দূষণের কবলে বাগেরহাটের চিতলমারীর প্রাণ খ্যাত চিত্রা নদী ও বেশ কয়েকটি খাল। উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা এ নদী এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। নদীর দুই পাড়ে বসবাসকারী প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব ও বাজারের কিছু দুষ্ট লোকের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে এটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ কারণে উপজেলার বহু নদী ও খাল বর্তমানে নাব্যতা সঙ্কটে ভুগছে। এ পরিস্থিতিতে নৌ যোগাযোগ ও মানুষের ব্যবহার্য পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উপজেলাবাসী এসব নদী ও খাল দ্রুত পুনঃখননসহ দখলমুক্ত করার দাবিও তুলেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন যুগ ধরে এ অঞ্চলের নদী ও খাল খনন না করায় বেশির ভাগ নদী-খাল ভরাট হয়ে গেছে। ফলে চিতলমারী সদর বাজারের হকক্যানেল ও চিত্রা নদীসহ বেশ কিছু নদী ও খালের দুই পাশে বসবাসকারী প্রভাবশালীরা যে যার মতো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে পাড় দখল করে নিয়েছেন। এছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলা হচ্ছে নদীটি। এর ফলে এটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চিতলমারী সদর বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীটিতে এখন হাঁটু পানিও নেই। পচা পানির দুর্গন্ধে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে দুই পাড়ে বসবাসকারী মানুষের জীবন। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সদর বাজারসহ আশপাশ এলাকায় বসবাসকারীদের।
এছাড়া উপজেলার বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর এ সাতটি ইউনিয়নে প্রধান তিনটি নদী ও ৫০টি খাল এবং শতাধিক শাখা খাল রয়েছে। যার বেশির ভাগ বেশির ভাগ এখন নাব্যতা সঙ্কটে। অনেক নদী ও খাল এখন কালের সাক্ষী মাত্র। এর মধ্যে হক ক্যানেল, পাটনিবাড়ি, নারাণখালী, বাঁশতলী, খাগড়াবুনিয়া, সিংগাবিলা, সোনাখালী, মরাশগুনিয়া, বসনদরি ও শরৎখালীসহ প্রায় ৫০টি খালের একই অবস্থা। এসব নদী ও খালে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়ায় মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে এর বেশির ভাগ ভরাট হয়ে গেছে। ফলে ঠিকমতো জোয়ার-ভাটার পানি ওঠানামা না করায় সেচ মওসুমে চাষিরা ফসলে ঠিকমতো পানি দিতে পারছে না।
এদিকে সদর বাজারের অন্যপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হক ক্যানেলের বেশ কিছু স্থান প্রভাবশালী লোকজন দখল করে নিয়েছে। এসব স্থানে যে যার মতো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ভরাট করে ফেলছে। ফলে নৌ যোগাযোগ একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় উপজেলার কুরালতলা, শিবপুর, কালশিরা, বারাশিয়া, আড়য়াবর্নীসহ প্রায় আট থেকে ২০ গ্রামের কয়েক হাজার চাষিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি চিতলমারী সদর বাজারে কৃষিপণ্যসহ মালামাল আনানেয়ার জন্য নৌকায় করে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সদর ইউনিয়নের রেজাউল দাড়িয়া, আব্দুল মমিন শেখ, বুদ্ধ বসু ও গৌর বাইন জানান, দখলবাজদের কারণে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন জোয়ার-ভাটার পানি ঠিকমতো উঠতে না পারায় পানির জন্য মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাসীন রেজা জানান, এভাবে খাল দখল হতে থাকলে কিছু দিনের মধ্যে এলাকায় নদী ও খালের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না এবং মানুষের দুর্ভোগ কোনো দিনও লাঘব হবে না। তিনি দ্রুত এসব নদী ও খাল পুনঃ খননের জোর দাবি জানান।
তবে চিতলমারী উপজেলার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুল আলম জানান, উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী ও হক ক্যানেলের শোচনীয় অবস্থা। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে শরীফার গল্প থাকছে ব্যাংক একীভূত হলেও গ্রাহকের আমানত নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে ৯ মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতি ৪২.৩০ শতাংশ ইরানের সাথে চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমার থেকে ১৭৩ বাংলাদেশী দেশে ফিরছেন ব্যাংক একীভূতকরণ স্থগিতের আহ্বান টিআইবির সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প চুক্তিতে তুরস্ক-ইরাক কাতার-আমিরাত ব্রিটেনের পার্লামেন্টে অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর বিল পাস কেএনএফ সন্দেহে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৭ জন কারাগারে মালয়েশিয়ার আকাশে ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ১০ নৌ সেনা নিহত ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ

সকল