২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগুন ঝরানো আমের বাজার

-

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাজারগুলোতে যেন আগুন ঝরছে। প্রচণ্ড চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে আড়তগুলোতে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আমের দাম। উৎপাদন কম হওয়া এবং গত তিন বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু থেকেই এ বছর আম ব্যবসায়ীরা একাট্টা হয়েছেন।
গত কয়েক দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান আম বাজারগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী দাম লক্ষ করা গেছে। কয়েক দিন আগে ১৬ শ’ টাকা দরের খিরসাপাত বা হিমসাগর গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪৬ শ’ থেকে ৪৮ শ’ টাকা দরে। ল্যাংড়ার বাজার ২৫ শ’ থেকে ২৬ শ’ টাকা, বোম্বাই ১৮ শ’ টাকা, আম্রপালি ২৪ শ’ থেকে ২৬ শ’ টাকা। অল্প ফজলি নেমেছে, দাম ১৮ শ’ টাকা। আর সব ধরনের গুটির বাজার ছিল ১৮ শ’ থেকে ২ হাজারের মধ্যে। কানসাট, রানীহাটি, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, রহনপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় প্রতিটি আমবাজারে কম বেশি এ ধরনের দরেই বেচাকেনা চলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদরঘাট পুরনো আম বাজারের পুরনো আম ব্যবসায়ী মামুন জানান, মওসুমের শুরু থেকেই এ বছর আমের বাজার ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীদের পুরনো হতাশা অনেকটা কেটে গেছে। গত বছরের তুলনায় আমের ফলন অনেকটাই কম হয়েছে। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় রমজানের পর থেকেই আম বাজারে মূল্য বৃদ্ধি শুরু হয়। হিমসাগর প্রায় শেষের পথে। তাই দামও বাড়ছে হু হু করে।
ওমর ফারুক নামের নিউমার্কেট এলাকার আম ব্যবসায়ী জানান, গত তিন বছর মার খাবার এবার আম ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। তিনি জানান, প্রথম থেকেই বাজার ভালো। পরিমাণের চেয়ে চাহিদা বেশি। তাই রেটও বেশি। তিন বছর থেকে বাগান কেনাবেচা হয়নি। এবার সেই খরাও ঘুচবে। আম সমবায় সমিতি লিমিটেডের সেক্রেটারি আসলাম আলী জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের দাম তিন গুণ বেড়েছে। একে ফলন কম। তার ওপর সরকারি নজরদারির মধ্যে আমে কেমিক্যাল স্প্রে হয়নি। বিষ মুক্ত আম হওয়া এবং সময় বেঁধে আম পাড়ার বিধান জারি হওয়াতেও চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে এসব কারণে আমবাজার চাঙ্গা হয়েছে।
ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক চুটু জানান, আমবাজার বেশ চাঙ্গা। দীর্ঘদিন পর কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। গত তিন বছরের পর ভোক্তারাও নির্ভয়ে আম খাচ্ছেন। আসলে কেমিক্যাল ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনে সরকারি নজরদারি ও প্রচার প্রচারণায় মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। এতেই আমের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোলাহাটে প্রতিদিন বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি টীম আসছে গাড়িবহর নিয়ে। তারা সারাদিন ধরে বাগানে বসে থেকে আম পেড়ে গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্য অনেক দিন পর দেখা যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনের জন্য তারা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সে প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এ বিষয়ে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র তথা আম গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম জানান, চাহিদার প্রায় অর্ধেক উৎপাদনের সম্ভাবনায় এবং নিরাপদ আম খেতে ভোক্তাদের মনোবৃত্তি পরিবর্তিত হওয়ায় এ বছর আমের বাজার খুবই ভালো। গত বছর ২ লাখ ৭৫ হাজার টন আম উৎপাদনের স্থলে চলতি বছর দেড় লাখ টনের বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা নেই। এ বছর মুকুল এসেছিল দেরিতে। তার ওপর কয়েকটি বৃষ্টি ও তাপদাহে মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে আম কম আর দামও বেশি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল