রুহিয়ায় এক কিলোমিটার সড়কে গর্ত ও জলাবদ্ধতা
- রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা
- ২৬ জুন ২০১৯, ০০:০০
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার প্রাণকেন্দ্র ‘রুহিয়া করিম জুটমিল থেকে মিশন রেলগেট’ পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার সড়ক মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আট বছর কোনো সংস্কার না করায় সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
রুহিয়া করিম জুট মিল হতে মাত্র এক কিলোমিটার অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ঢাকা-পঞ্চগড়, বাংলাবান্ধা মহাসড়কে সংযুক্ত থাকায় সড়কটির গুরুত্ব বেশি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার জনগণের যাতায়াতসহ, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের হাজারো মালবাহী ট্রাক, টেংলড়ী, বাস, মিনিবাস, কোচসহ মাইক্রোবাস, ট্রাক্টর, থ্রি
হুইলার, অটোরিকশাসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে আসছে। যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি যানবাহনের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এতে চালকেরা গাড়ি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে সড়কের কোথাও কোথাও দেবে সলিং উঠে গেছে। ফলে সড়কটি বর্তমানে মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া জরুরি পণ্য পরিবহনসহ কোনো মানুষ অসুস্থ হলে তাদের হাসপাতাল নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। সড়কের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করছেন। দীর্ঘদিনের এ জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির সংস্কারকাজ শুরুকরার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কর্ণফুলী বাজারের চা দোকানদার মতাহার হোসেন জানান, প্রায় অর্ধযুগ ধরে সড়কটির কোনো কাজ হচ্ছ না। যতদিন যাচ্ছে তত খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তিন-চার বছর ধরে শুনে আসছি এবার নাকি সড়কটি সংস্কার করা হবে কিন্তু এখনো কোনো খবর নাই। একটু বৃষ্টি হলে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। যার কারণে প্রায় সময় এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীরা।
কোচ চালক আতাউর রহমান বলেন, সড়কটি ভালো হলে মিশন রেলগেট থেকে রুহিয়া যেতে ৫ মিনিটও লাগে না, অথচ এখন ২০ মিনিট লেগে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, চৌরাস্তা থেকে মিশন রেলগেট ভাড়া ৫ টাকার স্থলে ১০ থেকে ২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার না হলে বর্ষায় এখান দিয়ে গাড়ি চলাচল একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে ১ নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু বলেন, আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, এখন দেখি কী হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা