আগৈলঝাড়ায় ১৩ মাস বেতন না পাওয়া কর্মচারী পরিবারে স্বস্তি
- আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা
- ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০
আদালতের নির্দেশে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দফতরি কাম প্রহরী কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে আইনি প্রতিবন্ধকতা কেটেছে। ভুক্তভোগী ওই সব কর্মচারী তাদের ১৩ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে সরকার আগৈলঝাড়া উপজেলার ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল নিয়োগ কমিটির শুপারিশে দফতরি কাম প্রহরী পদে কর্মচারীদের নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
নিয়োগপত্র পেয়ে ওই বছর ২৬ এপ্রিল কর্মচারীরা কর্মস্থলে যোগদান করলেও নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ও নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সরকারি ১১ জন পদস্থ কর্মকর্তাকে বিবাদি করে বরিশাল সহকারী বিজ্ঞ জজ আদালতে পৃথক আটটি মামলা দায়ের হয়।
মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ আদালত ওই বছর ৩০ মে বাদি পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে স্থিতি অবস্থা জারির নির্দেশ প্রদান করেন। একই আদালত ১৯ জুন (বুধবার) ৩৯,৪০,৪১, ৪২/১৮ নম্বর মামলায় দোতরফা সূত্রে শুনানি শেষে বাদি পক্ষের স্থিতি অবস্থার নির্দেশের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞ আদালতের এই মানবিক নির্দেশনার ফলে আর্থিক কষ্টে মানবেতর জীবন যাপনকারী ৩৬ নম্বর কদমবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী কিরণ অধিকারী, ৫০ নম্বর চক্রিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী আইউব খান, ৪১ নম্বর জয়রামপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারী মো: মাসুদ দাড়িয়া ও ৪৭ নম্বর দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী মিরাজ হাওলাদারের ১৩ মাসের বেতন-ভাতা প্রদানে সরকারের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে উল্লিখিত চার কর্মচারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আদালতের নির্দেশিত কাগজসংবলিত তাদের ১৩ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাসহ আনুসঙ্গিক আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য পৃথক চারটি আবেদন করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: সিরাজুল হক তালুকদার কর্মচারীদের আবেদন প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অফিসিয়াল কিছু কাজ বাকি আছে। এগুলো শেষ করে খুব শিগগিরই কর্মচারীদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা