২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গজারিয়া মহাসড়কে দেদারছে চলছে চোরাই প্রাইভেট কার

-

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা গোমতি থেকে মেঘনা ব্রিজ পর্যন্ত অর্ধশত অবৈধ চোরাই প্রাইভেট কার চলাচল করছে দেদারছে। ভবেরচর পয়েন্টে গজারিয়া থানার সামনে গেলেই দেখা যায় এদের দৈরাত্ম্য। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এই চোরাই সিন্ডিকেটের প্রাইভেট কার এবং জিপ গাড়ি। আগে এই গাড়ির নিয়ন্ত্রক ছিল ডায়োগনিস্টিক সেন্টার ও রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মহিউদ্দিন। তখনকার গজারিয়ার থানার ওসি হেদায়াতুল্লাহ ভূঞাকে মাসোয়ারা দিতেন তিনি। বর্তমানে এই সিন্ডিকেট পরিবর্তন হয়ে সোহাগ নামে আর একজনের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এখন এই অবৈধ কাগজপত্রবিহীন চোরাই প্রাইভেট কার থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা তোলেন সোহাগ। পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ম্যানেজ করেই প্রতি মাসে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা তুলছে এই সিন্ডিকেট।
কিছুদিন আগে নয়া দিগন্তে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিবেদকের সাথে দেখা হয় গজারিয়া থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের সাথে। তিনি বলেন, অবৈধ প্রাইভেট কার থেকে টাকা তোলে আমাকে টাকা দেয় এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যার বিরুদ্ধে নিউজ করা হয়েছে সেই মহিউদ্দিন তো এখন আর টাকা তোলে না। এখন টাকা তোলেন দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজের সম্পাদক আরিফিন মোল্লার ভাতিজা সোহাগ। মহিউদ্দিন যখন টাকা তুলতো তখনকার গজারিয়ার থানার ওসি প্রতি মাসে একটা বরাদ্দ পেতেন। আমি কোনো টাকা পয়সা নেই না।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সুমন, রেজাউলসহ চার-পাঁচজনের একটি টিম এই টাকা তোলার কাজে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। অবৈধ কাগজপত্রবিহীন চোরাই গাড়ি কিভাবে এই হাইওয়ে রোডে ভাড়ায় চলাচল করে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের। এই অবৈধ অর্ধশত প্রাইভেট কার পরিচালনায় নিয়ন্ত্রণ করেন চরবাউশিয়ার সোহাগ।
শহীদ, আওলাদ, জসীম, আনোয়ারসহ অনেক প্রাইভেট চালক অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে মুন্সীগঞ্জ কাগজের সম্পাদক আরিফিন মোল্লার ভাতিজা সোহাগের নেতৃত্বে ভবেরচর টু পাখির মোড় এবং জামালদী চলাচলকারী ২০ থেকে ২৫টি প্রাইভেট কার ৫ থেকে ৭টি হাইস গাড়ি থেকে দৈনিক ৫০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। সোহাগের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় করছে রেজাউল, সুমন, আবুলসহ একাধিক নামধারী উপজেলা শ্রমিকলীগ কর্মী।
সুমন জানায়, সোহাগ ভাই আমাকে গাড়ি প্রতি ৫০ টাকা উঠাতে বলেছে। সরকারি অনুমোদন আছে কি নাই তা আমি জানি না।
এ বিষয়ে গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ অফিসার জানান, সামনে ঈদ, তাই ঈদে সকলের সংসার আছে। ঈদের পরে সবগাড়ি বন্ধ করা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে সোহাগের সাথে বুধবার তার সেলফোনে যোগাযোগ করার হলে টাকা উঠানোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি উঠাই না। লাইন ম্যান আছে তারাই উঠায় আর টাকাটা তারাই ভাগ করে নেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল