২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিত্তবানদের হাতে ভিজিডি কার্ড

শর্ত মানছেন না জনপ্রতিনিধিরা
-

ঝালকাঠির রাজাপুরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দুস্থ ও অসহায়দের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ভিজিডি) কার্ড রয়েছে বিত্তবানদের হাতে হাতে। কার্ড প্রদানের কিছু শর্ত থাকলেও তা মানছেন না জনপ্রতিনিধিরা। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক এ কর্মসূচির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই উপজেলার দরিদ্ররা। বিত্তবানরা ভিজিডির চাল তুলে নিজেরা না খেয়ে তা হাঁস-মুরগি ও কবুতরকে খাওয়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী মাহাবুবের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। জেসমিন প্রতি মাসে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল তুলে তার শতাধিক কবুরতকে খাওয়ান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি একই এলাকার দরিদ্র নান্নু হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: আনোয়ার হোসেন একটি দোতলা পাকা বাড়ির মালিক। সেই সঙ্গে তার চাষের জমি ও নগদ অর্থ রয়েছে। বিত্তবান এই ব্যক্তিকেও ভিজিডি কার্ড দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
অপরদিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হতদরিদ্র কোহিনূর বেগম (৫০)। এই বিধবা নারী জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন করলেও তার ভাগ্যে ভিজিডির কার্ড বা অন্য কোনো সরকারি সহায়তা জোটেনি। তিনি উপজেলা সদরের হোটেল-রেস্তরাঁয় প্রতি কলস ৩ টাকা করে পানি সরবরাহ করেন। এতে যা রোজগার হয় তা দিয়ে কোনোমতে ভাঙা ঘরে দিন কাটে কোহিনূরের। একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও করাত কল শ্রমিক মো: নজরুল ইসলাম (৪৮) হতদরিদ্র এই মানুষটি একাধিকবার আবেদন করলেও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকারি কোনো সহায়তা পাননি।
সুবিধা বঞ্চিতরা বলছেন, টাকা দিতে না পারলে সরকারি সহায়তা মেলে না। যারা টাকা দিতে পারেন, তাদেরকেই জনপ্রতিনিধিরা ভিজিএফ ও ভিজিডির কার্ড দেন।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রকল্পগুলো নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা সদরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক অধ্যক্ষ মো: শাহজাহান মোল্লা বলেন, ‘সরকার দরিদ্র মানুষকে ভালো রাখতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বহু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অথচ কিছু দুষ্ট লোকের কারণে প্রকৃত দরিদ্রদের কাছে সরকারের সেই সহায়তা পৌঁছে না। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, ‘১ নম্বর ওয়ার্ডের মাহাবুব দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে থাকলেও গত ১ বছর ধরে তিনি দেশেই অবস্থান করছেন এবং শুনেছি বর্তমানে তার অবস্থা ভালো না। তাই তাকে ভিজিডির কার্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনকে দলীয় বিবেচনায় কার্ড দেয়া হয়েছে।’
হতদরিদ্রদের তালিকা থেকে বাদ পরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শত শত কার্ড দিতে গিয়ে একটু ভুলত্রুটিতো হতেই পারে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘ভিজিডির তালিকায় বিত্তবানদের নাম আসার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি মহিলা অধিদফতরকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা থেকে বিত্তবানদের নাম বাদ দিয়ে দরিদ্রদের নাম নিশ্চই অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি চতুর্থ দফা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি : এবারের তাপদাহ শেষেই বৃষ্টিপাতের আশা ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজে হাজারো মুসুল্লির কান্না পোরশার নোচনাহারে আগুনে ৩টি দোকান পুড়ে গেছে খুলনা বিভাগ ও ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ

সকল