ভাঙনের কবলে বীজ বর্ধন খামার
- দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ২০ মে ২০১৯, ০০:০০
২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে পটুয়াখালীর দশমিনায় যাত্রা শুরু করে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বীজ বর্ধন খামার। খামারটি উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরবাঁশবাড়িয়ায় অবস্থিত। বর্তমানে নদী ভাঙনের কবলে ঝুঁকিতে রয়েছে খামারটি। কাগজে কলমে ও মৌখিকভাবে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বলা হলেও ভাঙনের কবলে পরে তা এখন নাম মাত্র।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে দিকে খামারাটি নির্মাণের জন্য স্থানীয়দের কাছ থেকে ১০৪৪.৩৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। নানা প্রতিকূলতা মাঝে অর্ধযুগ পার করেছে খামারটি। সংশ্লিষ্টদের দাবি রেকর্ড পরিমাণ বীজ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। দেখা গেছে, সম্প্রতি নদী ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে গেছে খামারটির বেশির ভাগ। ফলে হুমকির মুখে পরেছে বীজ উৎপাদন। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে খামারের বীজ গুদাম ও মূল ভবন। এখন পর্যন্ত খামারের মোট আয়তনের প্রায় সাড়ে ৩ শ’ একর তেঁতুলিয়াতে বিলীন হয়ে গছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন বীজ বর্ধন খামারে গিয়ে দেখে যায়, আর মাত্র এক শ’ মিটার নদীতে বিলীন হলে সেই সাথে বিলীন হয়ে যাবে মূল ভবন ও বীজ সংরক্ষণের গুদাম। এতে করে চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয় ও খামার সংশ্লিষ্টরা। খামারটির মূল ভবন নদীতে বিলীন হলে বন্ধ হয়ে যেতে দাফতরিক কাজ। এতে চরম দুর্ভোগে পারবেন খামার সংশ্লিষ্টরা। এই মওসুমেই খামারের খামারের বীজ সংরক্ষণ গুদাম ও মূল ভবন বিলীন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এতে করে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে। থেমে যেতে পারে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের খামারের বীজ উৎপাদন। নদীভাঙনের কারণে খামারের কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ হওয়ারও শংঙ্কা রয়েছে। তাই ভুক্তভোগীরা অতি দ্রুত নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
বীজ বর্ধন কামারের ডিডি কিশোর কুমার বিশ^াস জানান, নদীভাঙনের বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো সুফল হয়নি বলে তার দাবি। অতি দ্রুত নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই বীজ সংরক্ষণ গুদাম ও মূল ভবন নদীতে বিলীন হতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা