১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নৌপথে চাঁদাবাজি শ্রমিকেরা দুর্ভোগের শিকার

-

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চারপাশেই বহমান নদীপথ। এ নৌপথে চলাচল করে বালুবাহী বাল্কহেড, মাছ ধরার ট্রলার, পণ্যবাহী ট্রলারসহ বিভিন্ন প্রকারের নৌযান। দীর্ঘ দিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল প্রকাশ্যে মেঘনার নৌপথে চলাচলকারী নৌযান থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, মেঘনার মানিক্কার চর ও পাড়ারবন দুটি পয়েন্টে ভোর ৬টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিটি ট্রলার থেকে ৩০০ টাকা ও বালুবাহী বাল্কহেড থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা করে উত্তোলন করা হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, পাড়ারবন এলাকার মেঘনার শাখা নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়ার পথে মাছ ধরার ছোট ট্রলার দিয়ে ওই পথে চলাচলকারী নৌযান থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করা হয়। এই পথে চলতে চাঁদার টাকা দিতে হবে ভুক্তভোগীদের এটা জানা তাই তারা আগেই টাকা রেডি রাখেন।
আসমানী নামের বালুবাহী বাল্কহেডের চালক সফর আলী জানান, প্রতিবার যাতায়াতের সময় এই এলাকার প্রভাবশালী মনির ও মজিবুরের লোকজনদের এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার টাকা না দিলে তারা আমাদের শ্রমিকদের মারধর করে, অন্যদিকে চাঁদা দিলে আমাদের নৌযান মালিকরা আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেয়। আমাদের হয়েছে মহাবিপদ। ভুক্তভোগীরা আরো জানান, এই এলাকার নৌপথে দীর্ঘ দিন ধরে চাঁদাবাজির বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন থেকে উপজেলা প্রশাসন সবারই জানা।
স্থানীয় লোকজন প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারে না। চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে পাড়ারবন এলাকার মৃত জাবিদ মিয়ার ছেলে মনিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা টাকা তুলছে আমার জানা নাই। এ ব্যাপারে মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন সিকদার বলেন, মেঘনা নদীর পাড়ারবন এবং মানিক্কারচর পয়েন্টে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমি জানি। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আমি নৌপুলিশের সাথে আলোচনা করেছি। আমি চাই চাঁদাবাজি বন্ধ হোক।
মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বানু বলেন, অবশ্যই চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হয়েছিল। পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘ দিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল প্রকাশ্যে মেঘনার নৌপথে চলাচলকারী নৌযান থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement