১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বালিয়াকান্দির মিষ্টি পান রফতানি হচ্ছে ৮ দেশে

-

অনুকূল আবহাওয়া আর বিদেশে মিষ্টি পানের ব্যাপক চাহিদা থাকায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পানচাষিরা দিনে দিনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব, পান বরজে নানা রোগ ও দুর্বৃত্তদের অব্যাহত ক্ষতির কারণে এ বছর তাদের দুশ্চিন্তায় কাটছে।
মিষ্টি পান চাষের উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত বালিয়াকান্দি উপজেলা। এ অঞ্চলের পানের সুখ্যাতি বহু পুরনো। এখানে সাধারণত দুই জাতের পান উৎপাদন হয়। মিষ্টি পান আর সাচি পান। এখানকার মিষ্টি পান দেশের চাহিদা মিটিয়ে আটটি দেশে রফতানি করা হয়। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলে প্রতি বছর কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। তবে পানচাষিদের বেকায়দায় পড়তে হয় রোগবালাইয়ের ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের পরামর্শের সুযোগ না থাকায়।
পানচাষি হাসান শেখ, মাজেদ শেখ, সুজিত রায়, হারুন শেখ, সুকুমার দে, সত্য রঞ্জন পাল, স্বপন রাহা জানান, বালিয়াকান্দি উপজেলার আড়কান্দি, বেতেঙ্গা, চরআড়কান্দি, ইলিশকোল, স্বর্প বেতেঙ্গা, খালকুলা, বালিয়াকান্দি, বহরপুর এলাকায় ব্যাপক পানের আবাদ হয়। তারা পূর্বপুরুষের আমল থেকে পানের চাষ করে আসছেন। পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারাও পান চাষ করছেন। পানচাষ লাভজনক হলেও তাদের মাঝে মধ্যে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। রোগ হলে সঠিক পরামর্শ পান না। এ অঞ্চলের সাচি ও মিষ্টি পান প্রচুর জন্মে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহজ শর্তে ঋণ পেলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। এখানকার মিষ্টি পান রাজবাড়ী জেলা ও পাশের জেলাগুলোর চাহিদা মিটিয়ে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় রফতানি করা হয়। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়।
পানচাষিরা আরো জানান, গত বছর পানের গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে লোকসান গুনতে হয়। এ বছর লাভের আশা করছেন। পানে রোগ হলে বিপদে পড়তে হয়। কৃষি কর্মকর্তারাও কোনো পরামর্শ দিতে পারেন না। তাই বিষয়টি নিয়ে গবেষণার দাবি জানান তারা।
পানচাষিরা আরো জানান, অর্থকরী ফসল পান হলেও তাদের জন্য নেই কোনো সহযোগিতা। কৃষি অফিস থেকেও কোনো সহযোগিতা মেলে না। সরকারিভাবে তাদের সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করলে তারা পানচাষকে আরো লাভজনক ও জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন। এ বছর প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ও বৃষ্টি না থাকায় পানক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে বলে তারা জানান। এছাড়া একটি চক্র পান বরজে আগুন দিয়ে ও লবণ ছিটিয়ে ক্ষতিসাধন করছে বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৬৫৮টি মিষ্টি পানের বরজ, ১৫৬টি সাচি পান বরজসহ মোট ৮১৪টি বরজে পান চাষ হয়েছে। ৬৮ হেক্টর জমিতে মিষ্টি পান ও ১৬ হেক্টর জমিতে সাচি পানসহ ৮৪ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। এখানকার মিষ্টি পান এলাকার চাহিদা মিটিয়ে আটটি দেশে রফতানি হয়। তবে পানচাষের ওপর কোনো বইপুস্তক না পাওয়ায় এবং রোগের বিষয়ে কোনো পরামর্শ ও ওষুধ না পাওয়ায় মাঝে মধ্যে অসুবিধায় পড়তে হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল