২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শার্শায় ৩৫টি পরিবারের রাস্তায় দেয়াল তুলে অবরুদ্ধ করে ফেলার অভিযোগ

-

যশোরের শার্শায় ছোট মান্দারতলা গ্রামের ৩৫টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করার জন্য ৫০ বছরের চলাচলের রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনিরুজ্জামান মন্টু তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাদের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। জমির মালিক একই গ্রামের মৃত ওমর ফারুক জেএল নম্বর ৫৪, ৪১ নম্বর খতিয়ানের বাস্তুভিটার চার শতক জমির মধ্যে স্থানীয় জয়নাল আবেদিন, দীন ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, রফিকুল ইসলাম ও ইউনুস আলীসহ ৩০ জনের অধিক গ্রামবাসীর উপস্থিতে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য এক শতক জমি মৌখিকভাবে দান করে দেয়ার ঘোষণা দেন। ওমর ফারুক গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তায় দানকৃত এক শতক জমি লিখে দেয়ার আগে মারা যান। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ৩৫টি পরিবার প্রায় ৫০ বছর যাবত এ রাস্তায় নির্বিঘেœ চলাচল করে আসছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় বাস্তবায়নাধীন অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ (পিআরডিপি-৩) শীর্ষক প্রকল্পের সপ্তম সভায় (২৪ এপ্রিল ১৯১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত) ছোট মান্দার গ্রামের সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের চলাচলের স্বার্থে সামসুর রহমানের বাড়ি থেকে জিয়াদ আলীর বাড়ি পর্যন্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন।
এদিকে মৃত ওমর ফারুকের মৌখিকভাবে দেয়া রাস্তা ব্যবহারের জন্য এক শতক জমি তার সন্তানরা কিছু না বললেও ওমর ফারুকের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সামসুর রহমান, বাবু, সামসুল ও জুয়েল দলবদ্ধ হয়ে শার্শা থেকে লক্ষ্মণপুর রোডের ছোট মান্দারতলা ৫০ ফুট রাস্তা ভেঙে দিয়ে প্রকাশ্যে প্রাচীর দিচ্ছে।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিরোধীয় রাস্তাটি সরেজমিন দেখার জন্য শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলককুমার মণ্ডল ও শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল