২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

গলাচিপায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে ২৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়

-

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ১২টি বিদ্যালয় ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে এসব বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ফলে আতঙ্কিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আর বিদ্যালয়গুলোতে ছেলেমেয়েদের পাঠাতে সাহস হারাচ্ছেন অভিভাবকেরা। এমনকি ঘরবিহীন বিদ্যালয়ও রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৯৯টি। এর মধ্যে ২৮টি বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি বিদ্যালয় হলো : ছয় আনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গলাচিপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লী উন্নয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোলখালী হালিমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর গোলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট গাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় গাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প: চরকাজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য চরবিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালাই কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পানপট্টি কাজিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া সদর ইউনিয়নের রতনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট রয়েছে। তাই পাঠদান চলছে ঝুঁকিপূর্ণ আধা পাকা ভবনে। বাস্তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসর্বস্ব বিদ্যালয়ের সংখ্যা আরো বেশি হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে এসব বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে। দরজা-জানালা অনেক আগেই খুলে পড়ে গেছে। কোথাও কোথাও ছাদের বিমেও দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। বর্ষায় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। যেকোনো মুহূর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ দিকে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের জন্য নেই কোনো ঘর। বর্তমানে পাঠদান চলছে ধার করা উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কক্ষগুলোতে। টিনশেড কক্ষগুলোর ছাউনি এতটাই নিচে যে, তীব্র রোদে পাঠদান একেবারেই অসম্ভব। ওই প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র মো: মুসা এবং চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল ও অরণ্য জানায়, অত্যধিক গরমে ক্লাস করা খুব কষ্টদায়ক। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ওয়ালিদের বাবা কবির হোসেন জানান, ‘ছাউনি খুব নিচে হওয়ায় শিুশুদের প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে হচ্ছে। নেই কোনো ফ্যানের ব্যবস্থাও। এভাবে কয়েক দিন ক্লাস চালানো হলে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়বে।’
রতনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বারী খান জানান, তার বিদ্যালয়ের আধা পাকা ভবনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য ১০টি কক্ষ প্রয়োজন হলেও আছে মাত্র ছয়টি। এ ছাড়া এক শিফটের বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা আড়াই শ’র কাছাকাছি। এতে কক্ষসঙ্কটে বিদ্যালয়ের পাঠদান মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
ছয়আনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস মিয়া বলেন, সাত বছর আগেই বিদ্যালয়টি মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনো ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে। বৃষ্টি এলে অলিখিত ছুটি হয়ে যায় বিদ্যালয়।
পানপট্টি কাজিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে ভয় পায়। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে আমাদের পাঠদান করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ বাল্টিমোর সেতু ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে নিহত ৪ সুইডেনে বসবাসের অনুমতি বাতিল কুরআন পোড়ানো শরণার্থীর ভালো আছেন খালেদা জিয়া লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ হস্তান্তর

সকল