২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আরিচা-জাফরগঞ্জ সড়কের নিহালপুর অংশে ধস : আতঙ্কিত এলাকাবাসী

শিবালয়ের আরিচা-জাফরগঞ্জ সড়কের নিহালপুর এলাকায় ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধের নিচের অংশ : নয়া দিগন্ত -

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আরিচা-জাফরগঞ্জ সড়কের নিহালপুর এলাকায় পদ্মা-যমুনা বেড়িবাঁধের নিচের অংশ মারাত্মক আকারে ধস দেখা দিয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙন আরো তীব্র হচ্ছে। দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
স্থানীয়রা জানান, আরিচা-জাফরগঞ্জের মধ্যে সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ১৯৬২-৬৩ সালের দিকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ বাঁধ তৈরি করা হয়। আরিচা ১ নম্বর ফেরিঘাট থেকে নিহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মিটার রাস্তার এ অংশে প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। প্রতি বছর ভাঙন রোধে বাঁশের প্যালাসাইটিং করে অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারের মোটা টাকা অপচয় হয়ে থাকে। স্থায়ী সমাধানে ২০১৩-১৪ সালে ওই স্থানে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সিমেন্টের খুঁটি ও ব্লক স্থাপন করা হয়। এতে রাস্তাটির স্থায়িত্ব এবং দেখতেও বেশ দৃষ্টিনন্দন হয়। কিন্তু চলতি মওসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্যালাসাইটিংয়ের নিচের অংশে মারাত্মক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন রোধ না হলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ রাস্তাটি নদীতে বিলীন হয়ে সরকারি অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আরিচা, নিহালপুর, সমেজঘর, ঝিকুটিয়, জমদুয়ারা ও কৃষ্ণপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। বন্ধ হয়ে যাবে আরিচা-জাফরগঞ্জের মধ্যে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা।
নিহালপুর গ্রামের বাসিন্দা শিবালয় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বাবুল হোসেন বাবু জানান, যমুনার এ অংশে অবৈধ ড্রেজিং ও সড়কে নিষিদ্ধ ভারী যানচলাচলসহ প্রবল বাতাস ও সৃষ্ট ঢেউয়ে বাঁধের নিচে ধস দেখা দিয়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে সহজেই এ ভাঙন রোধ করা যেতে পারে।
তেওতা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, উপজেলা প্রশাসন, এলজিইডি, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ভাঙনের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়েছে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে যথাযথ চেষ্টা করা হবে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মাওলা মেহেদী হাসান জানান, যমুনার নিহালপুর অংশে নদী ভাঙনের স্থানটি পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement