বাগমারায় ১০ টাকার চাল বিক্রিতে অনিয়ম : গুদাম সিলগালা
- বাগমারা (রাজশাহী) সংবাদদাতা
- ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
সরকারের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার একটি গুদাম সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত বুধবার বিকেলে দ্বীপপুর ইউনিয়নের ওই গুদাম সিলগালা করে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকেই ওই ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ক্রেতারা ১০ টাকা কেজি দরের চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রির জন্য চকহরিনারায়ণকুণ্ড গ্রামের ডিলার আনিসুর রহমান গত ১৩ মে উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ৪৫০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের উপস্থিতিতে তালিকাভুক্ত ক্রেতাদের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কথা থাকলেও ডিলার তা না করে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪৯ বস্তা চাল আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া ডিলার আনিছুর রহমান চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভুয়াভাবে ১৭ জন ক্রেতার নামের তালিকাও নিজেই তৈরি করেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়ের জন্য গত ১৫ মে আমি যথাসময়ে গুদামে উপস্থিত হয়ে ৪৫০ বস্তা চালের মধ্যে ৪০১ বস্তা চাল পাই। অবশিষ্ট ৪৯ বস্তা চালের সঠিক হিসাব ডিলার দিতে পারেননি। চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরুর আগেই ৪৯ বস্তা চাল কিভাবে হাওয়া হয়ে গেল ডিলার আনিছুর রহমান তার সঠিক জবাবও দিতে পারেননি। এ ছাড়া ১৭ জন ভুয়া ক্রেতার নামের তালিকাও দেখা যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা হলে তিনি ওই গুদামঘর সিলগালা করে দেয়ার আদেশ দেন। ওই আদেশে গুদামঘর সিলগালা করে দেয়া হয়। দ্বীপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান দুলাল বলেন, ডিলারের জন্য এখন দরিদ্র মানুষেরা ১০ টাকা কেজি দরের চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই এ ধরনের ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা প্রয়োজন। ডিলার আনিছুর রহমান দাবি করেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম বলেন, ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত করে পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা