২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগৈলঝাড়ায় দুস্থদের ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম

-

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দুস্থদের ভিজিডি কার্ড অবস্থাসম্পন্নদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ভিজিডি কার্ড বিতরণে রেকর্ড করলেন ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লা। স্বজনদের মধ্যে দুস্থদের ভিজিডি কার্ড বিতরণে রেকর্ড গড়া এই ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে এলাকার দুস্থদের পক্ষে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন ওই ওয়ার্ডের এক হতদরিদ্র বাসিন্দা। অবস্থাসম্পন্ন আত্মীয়দের মধ্যে দুস্থদের ভাগ্যের ভিজিডি কার্ড ভাগাভাগি করার ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড উত্তর শিহিপাশা গ্রামে।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গৈলা মডেল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য কুদ্দুস মোল্লা চলতি অর্থবছরে এলাকার দুস্থদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের রেশীয় অনুযায়ী তার ওয়ার্ডের দুস্থদের জন্য ২১টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পান। ২১টি কার্ড এলাকার হতদরিদ্র, দুস্থদের উপেক্ষা করে তিনি ১৩টি কার্ড নিজের চাচা, ভাতিজা, বোন, দুলাভাই, ভাগনী, বেয়াই, বেয়াইর ছেলে, চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, মামাতো ভাইয়ের ছেলে, মামাতো বোনের মেয়ে জামাই, মামাতো বোনের দেবরকে পর্যন্ত ভিজিডি কার্ড প্রদান করেন। ইউপি সদস্যের আত্মীয়স্বজনেরা ভিজিডি কার্ডের আওতায় এসে ইতোমধ্যেই সরকারের তিন মাসের চাল উত্তোলন করেছেন। নিজেদের মধ্যে কার্ড বণ্টনের বিষয়টি চাল উত্তোলনের পর এলাকায় জানাজানি হলে দুস্থদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
দুস্থদের পক্ষে গণমাধ্যমে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করেন ওই ওয়ার্ডের নাম না প্রকাশের শর্তে এক হতদরিদ্র বাসিন্দা। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লার বণ্টন করা তালিকা অনুযায়ী সবাই তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। এলাকার অসহায় ও দুস্থ, সম্পদহীন, দিনমজুর, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী পরিবার রয়েছে উপেক্ষিত। ইউপি সদস্যের বণ্টন করা ভিজিডি কার্ডধারী পরিবারের সদস্যরা বয়স্কভাতার আওতায় থেকে বিদেশে পর্যন্ত রয়েছেন। এমনকি কার্ডের নিয়ম বহির্ভূত পরিবারের ১২০ শতক জমি, টিনের দোতলা ঘর এবং পাকা বাড়িও রয়েছে। কার্ডের সুবিধাভোগীরা কেউই দুস্থ নন। অনেক কার্ডধারীর বাড়ি গিয়ে ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লার বদৌলতে স্বজনদের ভিজিডি কার্ড পাওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।
ইউপি সদস্য আ: কুদ্দুস মোল্লা গৈলা ইউনিয়নের সব ভিজিডি কার্ডের তদন্ত চেয়ে বলেন, যদি আমার কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয় তাহলে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তিনি মাথা পেতে নেবেন। ইউপি সদস্যের ভিজিডি কার্ড বণ্টনে কিছু অনিয়ম হয়েছে জানিয়ে গৈলা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু এ বিষয়ে কোনো সংবাদ না লেখার জন্যও অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, কার্ড বিতরণের কোনো অভিযোগ এখনো তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি দরিদ্রদের কার্ড দরিদ্রদের ফিরিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement