হাকিমপুরে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে চলতি বছরে ৫০ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত
- মুরাদ ইমাম কবির (হাকিমপুর) দিনাজপুর
- ২৪ মার্চ ২০১৯, ০০:০০
দিনাজপুরের হাকিমপুরে দিন দিন যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অতিমাত্রায় বায়ু দূষণ, ঘনবসতি, ধুমপানসহ মাদকগ্রহণ আর সচেতনতার অভাবেই যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
হাকিমপুর হাসপাতালের তথ্য মতে, গত ২০১৭ সালে হাকিমপুর উপজেলায় শিশুসহ ১৮৪ জন যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলেও ২০১৮ সালে শিশুসহ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০৫ জনে। আর চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নতুন করে ৫০ জন যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৭ সালে পাঁচজন এবং ১৮ সালেও পাঁচজন মৃত্যুরবণ করেন।
হাকিমপুর হাসপাতালের টিবি অ্যান্ড ল্যাপ্রসি কন্ট্রোল অ্যাসিট্যান্ট মৌসুমি ইয়াসমিন জানান, আক্রান্তরা বেশির ভাগই ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এ ছাড়ও এর মধ্যে কিছু যুবক ও শিশু রয়েছে। তিনি জানান, উপজেলার বেশি ভাগ মানুষকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় আনতে পারায় যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি খরচে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। আর এই কাজে স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
যক্ষ্মা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাঠকর্মী উম্মে হাবিবা বেগম ও কর্মসূচি সহকারী রওশন কবির জানান, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে যক্ষ্মা প্রতিরোধে নানা রকম সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্র্যাক কাজ করে যাচ্ছে। যক্ষ্মা রোগ কিভাবে ছড়ায়, কেন ছড়ায় এবং এর প্রতিরোধ কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে আমরা সচেতনতামূলক বৈঠক করছি।
তারা জানান, সাধারণত মাদক গ্রহণ, বায়ু দূষণ, ধুলা-বালু, স্যাঁতস্যেতে ঘরে বসবাস এবং ঘনবসতির কারণে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমেও মানুষ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
তারা বলেন, যক্ষ¥া আক্রান্ত রোগীর বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ওষুধ খাওয়ানো, ওষুধ পৌঁছে দেয়া থেকে শুরু করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে, যাতে তারা নিয়মিত ওষুধ খায়।
তারা জানান, হাকিমপুরে যক্ষ্মা পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র না থাকায় বিরামপুর ও দিনাজপুর যক্ষ্মা নির্ণয়কেন্দ্রে লোকজনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আনতে হচ্ছে। এতে সময় যেমন ব্যয় হচ্ছে তেমনি দূরে হওয়ায় লোকজন যেতে চান না। যদিও সব ব্যয় সরকারিভাবে বহন করা হয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও অধিকসংখ্যক লোককে যক্ষ্মা পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় আনা যাচ্ছে না।
এ ছাড়াও হাকিমপুর হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কট থাকায় রোগীদের হাসপাতালে এসে বসে থাকতে হয়। এতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন। তাই হাসপাতালে চিকিৎসক বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা