২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চালু হচ্ছে না ২৫০ শয্যার চিকিৎসাসেবা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবন হস্তান্তরে ধীরগতি

চালুর অপেক্ষায় থাকা মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের নতুন ভবন : নয়া দিগন্ত -

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবন হস্তান্তরে ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করছেন নতুন ভবন আদৌ কি হস্তান্তর হবে? জেলার ১৫ লাখ মানুষের চিকিৎসার আস্থা জাগানিয়া হয়ে ওঠা এ ভবনটির মাধ্যমে ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হবে হাসপাতালটি। এতে আরো উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবে জেলার বিশাল জনগোষ্ঠী। চালুর অপেক্ষায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন বহুতল ভবন। নির্মাণকাজ শেষে এখন অনুষঙ্গিক কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলেই উদ্বোধন করা হবে।
প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনটি ইতোমধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তবে মুন্সীগঞ্জ গণপূর্ত অধিদফতর কর্তৃপক্ষ ভবনটি বুঝে নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক দফা চিঠি পাঠালেও এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ অবস্থায় নতুন ওই ভবন চালুর অপেক্ষায় আছে জেলার চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত বিশাল জনগোষ্ঠী।
জানা গেছে, জেলার চিকিৎসাসেবার প্রাণকেন্দ্র মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নির্মিত ষষ্ঠতলা নতুন ভবনে থাকবে ২৫০ শয্যার সুবিধা। এখানে সিসিইউ, আইসিইউ ও আধুনিক অপারেশন কক্ষ থাকছে। উন্নত চিকিৎসাসেবার সুবিধাসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন এই হাসপাতালে। আধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন নতুন ভবনটি নির্মিত হওয়ায় চিকিৎসাসেবার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন জেলাবাসী। তবে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহ এবং চিকিৎসক-কর্মচারী নিয়োগে ধীরগতির কারণে ভবনটি হস্তান্তরও করতে পারছে না জেলা গণপূর্ত অধিদফতর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাইকার অর্থায়নে এই বহুতল ভবন নির্মাণকাজ করেছে মেসার্স নূরানী কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ষষ্ঠতলা এই ভবন নির্মাণে ৩০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়। ২০১৩ সালের ভবন নির্মাণকাজ শুরুর পর ২০১৮ সালের জুনে তা সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবন নির্মাণকাজ শেষ হলেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও চিকিৎসকের অভাবে এর কার্যক্রম চালু করা হয়নি।
মুন্সীগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, ভবনটি নির্মাণ শেষ হওয়ায় তা হস্তান্তর করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিবার চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে। এখন হাসপাতাল চালুর ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অধিদফতর সম্পন্ন করবে। গণপূর্ত বিভাগ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবন হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।
জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি অবহিত হয়ে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাগাদা দিয়েছেন। এ ছাড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকেও পৃথকভাবে জানানো হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময় নির্ধারণ করলেই গণপূর্ত বিভাগ জেনারেল হাসপাতালের নতুন এই ভবনটি হস্তান্তর করতে পারে।
জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: সুমন বণিক জানান, ভবনটি উদ্বোধন হলে হাসপাতালটি ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হবে। তবে লোকবল নিয়োগ এবং সরঞ্জাম ক্রয় প্রক্রিয়াধীন থাকায় ভবনটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। ভবনটি দ্রুত হস্তান্তর হলে রোগী ও ডাক্তারদের জন্য খুবই সুফল বয়ে আনবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সকল