গোপালগঞ্জ হাসপাতালো বহির্বিভাগে চিকিৎসক নেই : ভোগান্তিতে রোগীরা

গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক কর্মস্থল ছেড়ে প্রীতিভোজ ও মিলনমেলার নামে পিকনিকের আনন্দ উৎসব করছেন। গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছেন চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক ছাড়া দেখা মেলেনি অন্য কোনো চিকিৎসকের। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা পাননি। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কর্মস্থলে ছিলেন না বেশির ভাগ চিকিৎসক।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চাপাইল মধুমতি রিসোর্টে গিয়ে দেখা যায় উচ্চশব্দে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে আছেন চিকিৎসকেরা। কেউবা গল্পে মেতে, কেউবা সেলফি তোলায় ব্যস্ত। আবার অনেক চিকিৎসককেই দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের দুইটি সরকারি গাড়িতে পিকনিকস্থলে যেতে। চাপাইল মধুমতি রিসোর্টে প্রীতিভোজে আসা গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এ সম্পর্কে আমার কিছুই বলার নেই।
চিকিৎসা নিতে আসা সদর উপজেলার চরগোবরা গ্রামের বাসিন্দা গোলেজা বেগম জানান, আমি সকাল থেকে টিকিট কেটে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষায় আছি। বেলা ২টা পর্যন্ত ডাক্তারের দেখা পাইনি। আমরা গরিব মানুষ টাকা নেই, তাই বাইরের ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর সামর্থ্য নেই। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের ১০১ নং কক্ষ থেকে ২১৮ পর্যন্ত প্রত্যেকটি কক্ষই তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সহকারী বলেন, স্যার নেই, তাই তালা বন্ধ করে চলে যাচ্ছি। স্যারেরা না থাকলে আমরা থেকে কী করব।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক অসিত কুমার মল্লিক বলেন, এভাবে বহির্বিভাগ খালি রেখে যাওয়ার কথা না। কারা কারা গেছে আগামীকাল খোঁজ নিয়ে দেখব।
হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তাররাই এ প্রীতিভোজ ও মিলনমেলার আয়োজন করেছে। বেলা ২টার পর আমি ও সহকারী পরিচালক ডা: অসিত কুমার মল্লিক বহির্বিভাগে ঘুরে দেখেছি। তখন মাত্র দু’জন রোগী ছিলেন। তাদের আমরা চিকিৎসা দিয়েছি।