২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে কোন্দল

গুরুদাসপুরে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী এমপির পালিত পুত্র

-

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম। তার বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের পালিত পুত্র আনোয়ার হোসেন। মোহাম্মদ আহসান সরকারের ছেলে হলেও এলাকায় তিনি এমপির ছেলে হিসেবে পরিচিত।
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে আলোচনায় রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন। আলোচনায় থাকায় দুই প্রার্থীকে নিয়ে গুরুদাসপুর আওয়ামী লীগে আবারো কোন্দল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বর্তমান গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আর তার ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি একজন প্রভাবশালী নেতা। তার মরহুম পিতা হাকিম সরকার গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্বাধীনতা-পরবর্তী ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। জাহিদুল ইসলাম স্থানীয় বৃহত্তর চাঁচকৈড় হাটের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম গরিবুল্লাহ সরকারের বংশধর। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের পক্ষে কাজ করেন। তাই বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের প্রার্থী জাহিদুল ইসলামকেই মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু তার বিপরীতে আনোয়ার হোসেনকে বিদ্রোহী প্রার্থী করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস এমপি।
আনোয়ার হোসেন এলাকার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। আবার তিনি জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক। তরুণ প্রার্থী হিসেবে এলাকায় তার ক্লিন ইমেজ রয়েছে।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের ৩০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৪ সালেও উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সরকার এমদাদুল হক বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে দলের দুর্দিনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারও নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে বলে কর্মী-সমর্থকেরা জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, দলের স্বার্থে দলীয় প্রার্থী জাহিদকে সমর্থন দিতে পারেন এই ত্যাগী নেতা।
এ ব্যাপারে সরকার এমদাদুল হক বলেন, আমি নির্বাচনী মাঠে আছি থাকব। তবে দলীয় প্রার্থী জাহিদুল ইসলামকে সমর্থনের ব্যাপারে তিনি বলেন, সময়ই কথা বলবে।
দলীয় প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, দল তাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সবারই নৌকার জন্য কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, দলের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে আব্দুল কুদ্দুস এমপি তার পালিত পুত্র আনোয়ারকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। এ ছাড়া আব্দুল কুদ্দুস পরে তার মেয়েকে এমপি বানাবেন এবং ছেলেকে মেয়র বানিয়ে পরিবারতন্ত্র কায়েম করবেন।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি। বিশেষ করে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আমার অনুদান রয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। মানুষ আমাকে ভোট দেবে বলে আশা করছি। ১০ মার্চের ভোটে জনতার রায় নিয়ে বিজয়ী হবো ইনশা আল্লাহ।
অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি বলেন, অনোয়ার হোসেনকে আমি নয়, জনগণই প্রার্থী করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত জামায়াতের ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ যুবলীগ কর্মীদের, নিন্দা গোলাম পরওয়ারের চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার

সকল