গাভী পালন করে স্বপ্নের সফলতা
- রাসেল মিয়া মহম্মদপুর (মাগুরা)
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
গাভী পালন করে বেকারত্বকে হার মানিয়েছেন মাগুরার মহম্মদপুরের শিক্ষিত বেকার যুবক বদিউজ্জামান বুলবুল। বেকারত্ব আর সংসারের অভাব দূর করতে প্রথমে অল্প পরিসরে গাভী পালন শুরু করলেও অক্লান্ত পরিশ্রম আর সাহসের জোরে এখন তা খামারে রূপ নিয়েছে। গাভী পালনের সাফল্য দেখে এলাকার অনেকে ঝুঁকেছেন গাভীর খামারের দিকে।
মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌলী গ্রামের ৩৫ বছরের শিক্ষিত বেকার যুবক বদিউজ্জামান বুলবুল গোপীনাথপুর এম এ খালেক মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং মাগুরা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন। ২০১০ সালে লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে বিদেশে যাওয়ার জন্য কয়েক দফা টাকা জমা দিয়েও তিনি যেতে পারেননি।
তবে বেকারত্বের অভিশাপের কাছে তিনি হার মানেননি। বেকার থাকা অবস্থায় বুলবুল যখন কাউকে পাশে পাননি তখন পৈতৃক জমিতে ঘর তৈরি করে গাভী পালনের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১২ সালে মাত্র চারটি গাভী দিয়েই খামারের কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন তুলে ক্রয় করেছেন গাভী। কয়েক বছরের ব্যবধানে তার খামারে এখন ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৪২টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে উন্নত জাতের গাভী ২১টি। কয়েকটি গাভী খুব অল্পদিনের মধ্যে বাচ্চা দিবে বলেও তিনি জানান। প্রতিদিন গড়ে ১০০ কেজির বেশি দুধ বিক্রি হচ্ছে তার খামারে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বপ্নের কারিগর বুলবুল নিজেই তার গাভী ও বাছুরের যতœ নিচ্ছেন। খামারের পরিত্যক্ত জমিতে মালটা, পেয়ারা, আম, বেদানার চাষ করেছেন। গাভীর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে খামারের পাশেই দেড় একর জমিতে উন্নত জাতের ঘাষের আবাদ করেছেন।
বুলবুল জানান, নিজের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা স্বপ্নের খামারে নিয়মিত মাসিক চুক্তিতে তিনজন শ্রমিক কাজ করেন। গরুর খাবার, ওষুধ খরচ, কর্মচারী বেতন ও অন্যান্য খরচ বাদে প্রতি বছর ১৫ লাখ টাকা আয় হবে বলে জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা