গড়ে উঠেছে না নতুন কলকারখানা জয়পুরহাট বিসিক শিল্প নগরীতে প্লট সঙ্কট
- ওমর আলী বাবু জয়পুরহাট
- ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
জয়পুরহাট বিসিক শিল্প নগরীতে উদ্যোক্তা থাকলেও প্লটের অভাবে নতুন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে না। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার বেকার যুবকেরা।
জয়পুরহাট শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে দাদড়া জন্তিগ্রাম এলাকায় ১৯৯১ সালে ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১৯৯৬ সালে ১১১টি প্লট তৈরি করে তা উদ্যোক্তাদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। শুরুর দিকে প্লট বিক্রি না হলেও পরে পোলট্রি শিল্পের প্রসার ঘটায় এখানে অনেকেই পোলট্রি সংশ্লিষ্ট কারখানায় তৈরি করেছেন এবং ২০০৭ সালে বরাদ্দকৃত সব ক’টি প্লট শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে ১১১টি প্লটে ৪৭টি শিল্প কারকাখানা রয়েছে। এর মধ্যে পোলট্রি ফিড, হ্যাচারি, জৈব সার কারখানা, পোলট্রি মেডিসিন কারখানা, মুড়ি তৈরির মিল, বস্তা তৈরি ও বালতি তৈরিসহ বেশ কয়েক রকমের শিল্প কারখানা।
জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল হাকিম মণ্ডল জানান, বিসিকে প্লট সঙ্কটের কারণে অনেক নতুন উদ্যোক্তারা শিল্প কারখানা করতে পারছেন না। অনেকেই আবার বাধ্য হয়ে বিসিকের পাশে জমি নিয়ে শিল্প কারখানা তৈরি করছে। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জয়পুরহাট বিসিকের প্লট সঙ্কটে বিনিয়োগ করতে পারছে না এমন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের দাবি, জয়পুরহাটে আরেকটি বিসিক শিল্পনগরী করা হলে এক দিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, অন্য দিকে স্থানীয় অর্থনীতির চাকাও সচল থাকবে।
জয়পুরহাট চেম্বারের পরিচালক আনোয়ারুল হক আনু জানান, জয়পুরহাটের শিল্প কলকারখানা তৈরির প্রধান অন্তরায় হলো বিসিকের প্লট সমস্যা এরপর গ্যাস না থাকা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে থেকে চড়া মূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া এবং বিল পরিশোধ করা। এসব সমস্যা দূর হলে জয়পুরহাটে অনেক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব। এতে করে জয়পুরহাট দেশীয় অর্থনীতিতে ভালো অবদান রাখতে পারত।
জয়পুরহাটের ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান, বটতলীর মিঠু, আক্কেলপুরের ব্যবসায়ী আবদুল মোত্তালেব মিলন জানান, তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে ছোট ছোট শিল্পকারখানা তৈরি করতে চান কিন্তু বিসিকে নতুন প্লট না পাওয়ায় তারা উদ্যোগ নিতে পারছেন না। আর যারা শিল্প কারখানা তৈরি করছেন তাদের কারখানা সম্প্রসারণের জন্য আরো প্লট দরকার। প্লট সঙ্কটে তারা কারখানা সম্প্রসারণ করতে পারছেন না।
জয়পুরহাট বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) আকতারুল আলম চৌধুরী জানান, বিসিকে প্লটের অনেক চাহিদা রয়েছে। এই এলাকার অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক হওয়ায় পোলট্রি, হাঁস-মুরগি ও মছের খাদ্য, জৈব্য সার ও ওষুধ কারখানাসহ ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত কল-কারখানা রয়েছে।
এখানে প্লট না থাকায় নতুন উদ্যোক্তারা শিল্প কারখানা করতে পারছেন না। আমরা ইতোমধ্যে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের বটতলী এলাকায় আরো একটি শিল্প নগরী তৈরি করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছি।
জয়পুরহাটে নতুন করে আরেকটি বিসিক শিল্পনগরী স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। নতুন শিল্পনগরী করা স্থাপন গেলে এখানকার নতুন উদ্যোক্তারা যেমন শিল্পকারখানা তৈরি করতে পারবেন তেমনি বেকারত্বও দূর হবে এবং সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা