২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীতে তিন তলার নকশায় নির্মাণাধীন পাঁচ তলা ভবনে ফাটল

স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
-

রাজশাহীতে মাস কয়েক আগে নির্মাণাধীন পাঁচ তলা একটি ভবনে ফাটল দেখা দেয়। তিন তলা নকশার অনুমোদিত ভবনে পাঁচ তলা করায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এ নিয়ে আদালতে একটি রিট আবেদন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ত্রুটিপূর্ণ ওই ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধের জন্য আদালত স্টে অর্ডার দিয়েছেন। কিন্তু আদালত ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আবারো ওই ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করেছেন ভবন মালিক। ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধ না করা হলে যেকোনো সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাপক জান-মালের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে রাজশাহী নগরীর কলাবাগান এলাকার ওই ভবনের দোতলায় ফাটল দেখা দেয়। বসবাসরতদের অনেকেই ওই সময় ভবনটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ভবনটিতে ফাটল দেখার পরপরই সেখানে বসবাসরতরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি নির্মাণাধীন ওই ভবনের পাশে বসবাসরতরাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা জান-মালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে ওই ভবনে ফাটল দেখা দিলে ফায়ার সার্ভিস ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভবনটি পরিদর্শন করে তা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আমরা ভবনটি পরিদর্শন করেছি। পুকুর ভরাট করে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনটি গড়ে তোলা হচ্ছে। তিন তলার অনুমোদন নিয়ে পাঁচ তলা নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তখন মাইকিং করে সেখানে বসবাসরতদের সরে যাওয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রতিবেশীরা অভিযোগ করে বলেন, ভবনটির মালিক ওই এলাকার ফজলুর রহমান পলাশের স্ত্রী রোজিনা বেগম হিরা। তিন বছর আগে হিরা ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। এর আগে ভবনটির স্থানে ছোট পুকুর ছিল। পুকুরটি আবর্জনা দিয়ে ভরাট করা হয়। তা ছাড়া তিন তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি পেলেও সেখানে কোনো ধরনের পাইলিং ছাড়া পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ শুরু করেন। বর্তমানে ভবনটির শেষ তলার নির্মাণকাজ চলছে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) থেকে ভবন মালিককে নির্দেশ দেয়া হয়। তার পরও ভবনটির নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। এর আগে প্রথম দফায় ২০১৬ সালে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল আরডিএ। তবে নোটিশের কোনো জবাব দেননি নির্মাণাধীন ভবনের মালিক রোজিনা বেগম হিরা।
আরডিএর অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য আদালত স্টে অর্ডার দিয়েছেন। তার পরও ভবনটির নির্মাণকাজ চলমান রাখলে তা আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে। তিন তলার অনুমোদন নিয়ে পাঁচ তলা নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ভবনটির মালিক রোজিনা বেগম হিরাকে পাওয়া যায়নি। তবে হিরার স্বামী ফজলুর রহমান পলাশ এ ব্যাপারে আদালতের স্টে অর্ডার রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। আর ভবনটির নির্মাণকাজ চলমান রাখলে তা আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘিত হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত

সকল