২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডামুড্যায় দোচালা টিনের ২টি কক্ষে চলছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠ দান

-

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার নাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ দান চলছে দোচালা টিনের ঘরের দু’টি শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে। বিদ্যালয়টিতে নেই পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও সরেজমিন জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নাংলা গ্রামে ১৯৮৩ সালে একটি টিনের ঘরে রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯৫ সালে একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর পরেই ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। ২০১৮ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনটি ৬৮ হাজার টাকায় নিলামে দেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরপর এক লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দোচালা টিনের ঘর নির্মাণ করে মাত্র দু’টি শ্রেণী কক্ষে ১২৯ জন ছাত্রছাত্রীকে গাদাগাদি করে পাঠদান করানো হচ্ছে। ফলে শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়াও বিদ্যালয়টিতে প্রয়োজনের তুলনায় চেয়ার টেবিল, বেঞ্চসহ নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি নুতন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রায়হান, নিহাল ইসলাম ও সুর্বণা আক্তার বলে, আমাদের স্কুল ভাঙ্গাচুরার কারণে বর্ষার দিনে বৃষ্টি পড়ে। আমরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারি না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, একটি ভবনের অভাবে আমাদের অনেক কষ্ট করে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করাতে হয়। গরমে পাশের আমগাছের নিচেও ক্লাস করতে হয়েছে। এ কারণে অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
ডামুড্যা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আগের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটি ভেঙে সাময়িকভাবে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে দুটি কক্ষে পাঠদান করানো হচ্ছে। আমরা স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা দ্রুত ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
ডামুড্যা উপজেলা প্রকৌশলী এস এম হাসান ইবনে মিজান বলেন, ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে টেন্ডার কাজ শুরু হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।


আরো সংবাদ



premium cement