২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজবাড়ীতে স্কুলের মধ্য দিয়ে রাস্তা : ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

দুই পাশে হাউলি কেউটিল প্রাথমিক বিদ্যালয়; মধ্যখানে খেলার মাঠে রাস্তা। ঝুঁকি নিয়ে খেলাধুলা করছে শিক্ষার্থীরা : নয়া দিগন্ত -

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ হাউলি কেউটিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের ভেতর দিয়ে গেছে পাকা রাস্তা। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত দ্রুত গতিতে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। ফলে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ক্লাসের সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
পাকা রাস্তার দুই পাশে রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের শ্রেণিকক্ষ। স্কুলের খেলার মাঠটির মধ্য দিয়ে পাকা সড়ক থাকায় শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় সেখানেই খেলায় মেতে ওঠে। এতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের এই হাউলি কেউটিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে আড়াই শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম ইয়াছিন জানান, ১৯৮৫ সালে স্কুলটি এলাকাবাসীর সহায়তায় গড়ে ওঠে। কিন্তু রাস্তাটি এর অনেক পরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ হয়েছে। সে সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ রাস্তা নির্মাণে কোনো বাধা দেয়নি। শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন এই রাস্তাটি স্কুলের একটি বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিদিনের সমাবেশ এই রাস্তার উপরই করতে হয়। স্কুলের বাড়তি কোনো জায়গাও নেই। টিফিন ও ছুটির সময় এই রাস্তার উপরই তারা ছোটাছুটি করে। তাদের সহজে ধরে রাখা যায় না।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসজাদ হোসেন জানান, দুই পাশে স্কুলের ভবন রেখে মাঝ দিয়ে পাকা সড়ক নির্মাণ করাটা মোটেও ঠিক হয়নি। শিশুরা সময় পেলেই রাস্তাটির উপর খেলায় মেতে ওঠে। তা ছাড়া স্কুলের দুই পাশেই ভবন থাকার কারণে শিশুদের শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার সময়ও রাস্তা পার হয়ে যেতে হয়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই তারা শিশুদের নিরাপত্তায় স্কুল ভবনের পেছন দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, গোয়ালন্দ-রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের জন্য ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে হাউলি কেউটিল গ্রাম থেকে শুরু করে তিন কিলোমিটার কাটাখালী জিসি-খানখানাপুর সড়কটি নির্মিত হয়। এ সময়ই স্কুলের ভেতর দিয়ে ওই সড়কটি নির্মিত হয়। তবে স্কুলের ভেতর দিয়ে সড়ক থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই এলাকাবাসী যদি স্কুলের পেছন দিকে যে জায়গা রয়েছে সেটি দেয় তাহলে একটি বিকল্প সড়ক তৈরি করা যেতে পারে। তবে এরই মধ্যে রাস্তাটি আলাদা রেখে স্কুলের দু’টি ভবনের পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement