তাহিরপুরে কোনো কাজে আসছে না ৩২ লাখ টাকার ব্রিজ
- জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
- ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট-চানপুর সড়কে শান্তিপুর নদীতে তিন বছর আগে একটি ব্রিজ নির্মিত হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় নির্মাণের পর থেকে এক দিনের জন্যও ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারেনি এলাকাবাসী। হেমন্তে শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় নদীটি ডুবে থাকার কারণে এ পথে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে তিনটি ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী। ফলে সরকারের ৩২ লাখ টাকাই গচ্চা গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। ব্রিজের অ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় এবং সেই সাথে ব্রিজ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বাদাঘাট-চানপুর সড়কে শান্তিপুর নদীতে ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অ্যাপ্রোচে মাটি রয়েছে তবে তা সামান্য। ব্রিজের উত্তর পাশে কোনো মাটি নেই। তা ছাড়া ব্রিজটির উত্তর পাশে এবং দক্ষিণ পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্প থেকে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তিন লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। শান্তিপুর বাজারের উত্তর পাশ থেকে ব্রিজ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক প্রকল্পে ইউপি সদস্য আবু তাহের মিয়াকে প্রকল্প প্রধান করা হয়। প্রকল্প চেয়ারম্যান আবু তাহের শান্তিপুর বাজার থেকে কাজ শুরু করে ব্রিজের উত্তর পাশে দু’শতাধিক ফুট দূর পর্যন্ত মাটির কাজ করান। অবশিষ্ট সংযোগ সড়কটি অসম্পূর্ণ রয়েছে। নির্মাণের তিন বছর অতিবাহিত হলেও ব্রিজটি ব্যবহার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তাহিরপুর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এলজিইডি ৩২ লক্ষাধিক টাকা নির্মাণ ব্যয়ে ব্রিজের দরপত্র আহ্বান করে। আহ্বানের পর নির্মাণকাজের ঠিকাদারি পায় জামালগঞ্জ উপজেলার পারভেজ এন্টারপ্রাইজ। ব্রিজ নির্মাণ হলেও নির্মাণের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সামান্য মাটির কাজ করে দু’পাশের অ্যাপ্রোচের। তা ছাড়া অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে ইউপি সদস্য আবু তাহের মিয়াও শতভাগ মাটির কাজ না করায় সংযোগ সড়কটি সম্পন্ন হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। নির্মাণ কাজের ঠিকাদার পারভেজ আলম বলেন, নির্মাণের পর আমরা দু’পাশের অ্যাপ্রোচে মাটি ভরাটের কাজ করে দিয়েছি। ইউপি সদস্য ও সংযোগ সড়ক প্রকল্পের সভাপতি আবু তাহের মিয়া বলেন, শতভাগ মাটির কাজ করা হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) রেজাউল করিম বলেন, ব্রিজটি সর্বসাধারণের চলাচলের উপযোগী করতে হলে প্রটেকশন ওয়াল দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হবে।
এ বিষয়ে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মস্থান কর্মসূচি প্রকল্প থেকে সংযোগ সড়কের মাটি ভরাটের কাজটি করা হয়েছিল ব্রিজ পর্যন্ত। বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা