২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজারহাটে ৩ কোটি টাকার বনায়ন প্রকল্পে গাছ নেই

-

রাজারহাটে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার বনায়ন কর্মসূচির আওতায় রোপণকৃত চারা গাছগুলো এখন আর নেই। মাত্র এক বছর আগে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজারহাট গড়ার লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই কর্মসূচির আওতায় সাত লাখ চারা গাছ রোপণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের শেষার্ধ্বে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজারহাট গড়ার লক্ষ্যে সে সময় রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে তিন কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এ কর্মসূচিতে জনসাধারণের স্বেচ্ছাশ্রম, দানশীল ব্যক্তির ৫০ হাজার চারা গাছ ও ৫৫ লাখ টাকার ২৫ হাজার বাঁশ বিনামূল্যে সংগৃহীত হওয়ায় অর্ধকোটি টাকায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ এই কর্মসূচিতে অর্থ ব্যয় করে। একই দিনে মাত্র এক ঘণ্টায় সাত লাখ বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে গ্রামাঞ্চলের ছোট বড় ৫০০টি রাস্তায় একযোগে লক্ষাধিক মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। নির্ধারিত দিবসের আগে উপজেলার বিভিন্ন জনবহুল স্থানে অর্ধশতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই দিবসে দূর-দূরান্ত থেকে বাদ্যকরদের ভাড়া করে এনে পিকআপ ভ্যানে রাজারহাটের আনাচে-কানাচে সর্বত্র গগন ফাঁটা ঢাক ঢোল বাজনার আয়োজনও ছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার ধারে রোপণকৃত চারা গাছগুলো এখন আর নেই। কোথাও কোথাও দু-একটি করে গাছ রয়েছে মাত্র। এমনকি রাজারহাট উপজেলা হ্যালিপ্যাড মাঠে উদ্বোধনী মঞ্চের পাশের প্রধান অতিথি রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, বিশেষ অতিথি কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার কর্তৃক রোপণকৃত একটি গাছও পাওয়া যায়নি। তবে আজো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে নাম ফলকগুলো।
উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ মৌজার ইব্রাহীম আলম জানান, গোটা ইউনিয়নে ১০০ চারা গাছও এখন নেই। নিম্নমানের চারাগাছ রোপণ ও রক্ষণা-বেক্ষণ কমিটি না থাকায় এই প্রকল্প ভেস্তে গেছে।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম বলেন, প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপির বরাদ্দ থেকে তিন লাখ করে টাকা ও উপজেলা রাজস্ব খাত থেকে অর্ধকোটিরও বেশি টাকা ওই সময় সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজারহাট প্রকল্পে ব্যয় করা হয়। এ ছাড়া সাত ইউনিয়নের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের এই কাজে ১৫ কার্যদিবস ব্যয় করা হয়।
রাজারহাটের সাবেক ইউএনও রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এগুলো এখন আমার মনে নেই।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রাশেদুল হক প্রধান বলেন, ওই প্রকল্পের আরো ৫০ হাজার চারা মজুদ রয়েছে, তা রোপণ করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement