ধামরাইয়ে বংশী নদীতে সেতু নির্মাণ শেষ না হওয়ায় তিন উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ
- নবীন চৌধুরী ধামরাই (ঢাকা)
- ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
ধামরাইয়ের রাজাপুর কহেলা-আতুল্লøারচর বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় তিন উপজেলাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বছরখানেক কাজ করার পরই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেতু নির্মাণ। এতে ধামরাই উপজেলার চৌহাট, বালিয়া, আমতা ও পশের নাগরপুর এবং মির্জাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখন এলাকাবাসীর একটিই প্রশ্ন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে কবে?
ধামরাই উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধামরাইয়ের রাজাপুর কহেলা-আতুল্লারচর বংশী নদীর ওপর ৭৫ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডি ও বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে তিন কোটি ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২২ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ফাহিম কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শুরু করে। ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল; কিন্তু বছরখানেকের মধ্যে সেতুর ছয়টি পাইল নির্মাণের পরই রড সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন ঠিকাদার।
স্থানীয় চৌহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি বলেন, রাজাপুর কহেলা-আতুল্লারচর বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ধামরাই উপজেলার চৌহাট, বালিয়া, আমতা ও পাশের নাগরপুর এবং মির্জাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে ধামরাই সদর ও ঢাকায় যাতায়াতের জন্য প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এ সেতুর জন্য এসব এলাকার মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ধামরাইয়ের রাজাপুর কহেলা বাহরাম মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান বলেন, বংশী নদীর ওপর সেতু না হওয়ায় রাজাপুর বেগম আনোয়ারা গালর্স কলেজ, বাহরাম মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়, নিকলি জে ই হক উচ্চ বিদ্যালয়সহ সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়।
রাজাপুর বেগম আনোয়ারা গালর্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম খান সেলিম বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে তিন উপজেলাবাসীই উপকৃত হবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাহিম কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী মো: ইউসুফ হোসেন বলেন, প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ করার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রড-সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ করে চলে গেছে। এখন নতুন টেন্ডারের মাধ্যমে আবার কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা