১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অপহরণের ৬ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

-

গাজীপুরের শ্রীপুরে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের ছয় দিন পর মঙ্গলবার বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে এক পিএসসি পরীক্ষার্থীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই ছাত্রের নাম সাদমান ইকবাল রাকিন। সে শ্রীপুর উপজেলার ফাউগান গ্রামের শামীম ইকবালের বড় ছেলে। রাকিন স্থানীয় ফাউগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তার বাবা শামীম ইকবাল গাজীপুর জেলা পরিষদের কার্যসহকারী পদে চাকরি করেন।
নিহতের বাবা শামীম ইকবালসহ পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার রাকিন আসর নামাজ পড়তে বাড়ির পাশের মসজিদে যায়। নামাজ শেষে সন্ধ্যায় সে মসজিদসংলগ্ন মাঠের পাশে বসে শিশুদের খেলা দেখছিল। এ সময় সে নিখোঁজ হয়। সে মাগরিব নামাজের জন্য মসজিদেও যায়নি। সন্ধ্যার পর রাকিন বাসায় ফিরে না আসায় স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। নিখোঁজের ঘণ্টাখানেক পর অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে রাকিনের বাবাকে মোবাইলে ফোন করে। এর পরপরই সিমটি বন্ধ করে রাখা হয়। অপহরণকারীরা যে সিমটি ব্যবহার করে মুক্তিপণের টাকার জন্য ফোন করে, ওই সিমটি সেটসহ রাকিনের মা প্রায় ছয় মাস আগে হারিয়ে ফেলেন। রাতভর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ছেলের সন্ধান না পেয়ে পরদিন রাকিনের বাবা শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। নিখোঁজের ছয় দিন পর মঙ্গলবার স্থানীয়রা পচা দুর্গন্ধের সূত্র ধরে বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ের ভেতর রাকিনের অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে নিহতের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। দু’ভাইয়ের মধ্যে রাকিন বড়। সামীর নামে তার ১৮ মাস বয়সের অপর এক ভাই রয়েছে।
শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অপহরণের পরপরই শিশু রাকিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ফলে তার লাশে পচন ধরেছে। লাশ অর্ধগলিত হওয়ায় মৃত্যুর আলামত চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement