২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিঙ্গাইরে এক ইউনিয়নে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ২১ ইটভাটা

-

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নে নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠেছে ২১ ইটভাটা। এসব ভাটা ফসলি জমি, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করলেও এগুলো বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে বলধারা ইউনিয়ন ও চান্দহর ইউনিয়নে ২১টি ইটভাটার কারণে দূষণের কবলে পড়েছে পুরো এলাকা। আবাসিক এলাকা ও ফসলি জমিতে এসব ইটভাটা গড়ে ওঠায় কমে গেছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল ও বসতবাড়ির গাছপালা। হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
চান্দহর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী এ ইউনিয়নে মোট ইটভাটা ২১টি। যার বেশির ভাগই অনুমোদনবিহীন। এলাকাবাসীর তথ্য মতে এ ইউনিয়নের দুই কিলোমিটারের মধ্যেই গড়ে উঠেছে ১৫টি ইটভাটা।
ওই এলাকার আবদুল মান্নান ও কুদ্দুসুর রহমান বলেন, আমাদের রিফায়েতপুর-বাঘুলি চকটি ইটভাটার ছকে পরিণত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ম্যানেজ করে শুরু করে ইট পোড়ানো। কখনো আর্থিক সুবিধা কখনো রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালীরা ইটভাটাগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতঃপূর্বে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন ও ইটের মাপ কম থাকায় একাধিক ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়। তা ছাড়া গত ৩০ জুলাই সিঙ্গাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হামিদুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এইচবিসি ইটভাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। সর্বশেষ গত ২২ ও ২৭ অক্টোবর সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেলা রহমত উল্লাহ দক্ষিণ বলধারার ডিবিসি ইটভাটাকে ৫০ হাজার ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। তারপরও থেমে নেই অনুমোদনবিহীন ভাটার কার্যক্রম।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ৮০টির অধিক ইটভাটা। এর মধ্যে ৩৫টি ভাটার ইট পোড়ানোর কোনো লাইসেন্স নেই বলে জানা গেছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি ফসলি জমি কমে যাওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছেন অনেকে। পরিবেশের ওপর নেমে এসেছে বিরূপ প্রভাব। ইটভাটা বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দফতরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সান ব্রিকসের মালিক সেলিম রেজা বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের কাগজপত্র হাতে পেয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। ইট পোড়ানোর লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন আছে।
চান্দহর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রমাকান্ত চক্রবর্তী বলেন, আমরা অবৈধ ভাটা বন্ধে বাধা দিয়েছি। তা উপেক্ষা করে মালিকরা ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিন বাস্তব চিত্র তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাব।
এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হামিদুর রহমান বলেন, অনেক ভাটারই বৈধ কাগজপত্র নেই। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করলে ভাটা মালিকরা হাইকোর্টে রিট করেন। ফলে ওই সব অবৈধ ভাটা বন্ধ করা সম্ভব হয় না।


আরো সংবাদ



premium cement
‘সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না’ ফরিদপুরে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগে ৫ জন‌ আটক ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ তীব্র তাপদাহে খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করল একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গলাচিপায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে : ইসি শিশু সন্তান অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, সৎ বাবাসহ গ্রেফতার ২ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

সকল