২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাবনায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়া এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি : বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

-

কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পাবনার যেখানে সেখানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। জেলার প্রায় সব উপজেলার ছোট বড় হাটবাজারের বিভিন্ন দোকানে কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার। শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির ব্যবসায় চালানো হচ্ছে। ফলে এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিন বেড়ার চতুরবাজার, ডাকবাংলা, মোহনগঞ্জ, হাটুরিয়া, নাকালিয়া, রাকশা, সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর, বোয়ালমারি, ধুলাউড়ি, সেলন্দা, ফরিদপুর উপজেলা সদর, বনয়ারিনগর ও ডেমরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মুদি দোকান, ফার্নিচারের দোকান, লন্ড্রি, ইলেকট্রনিকসের দোকান, রিকশা গ্যারেজ, এমনকি ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। এসব দোকানে নেই কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। জনবহুল কিংবা আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। জ্বালানি অধিদফতরের আইন অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান এলপিজি গ্যাস বিক্রি করবে, তাদের বিক্রির স্থান সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে হবে। এলপিজি গ্যাস বিক্রির স্থানে কমপক্ষে পাকা ফ্লোরসহ আধাপাকা ঘর, অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার এবং জ্বালানি অধিদফতরের অনুমোদন থাকতে হবে।
সাঁথিয়া বাজারের এক মুদি দোকানি বাড়তি লাভের আশায় দোকানে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির ডিলাররা দিয়ে যায় আমরা বিক্রি করি।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা শিগগির এলপিজি গ্যাসের সব ডিলারকে নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করছি যেন তারা খোলাবাজারের দোকানপাটে এসব বিক্রি জন্য না দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement