স্থাপনা নেই অথচ ৪৫২২ ভোটার নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাব
- মুহাম্মদ হানিফ ভূঁইয়া নোয়াখালী
- ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের জন্য ৭৭টি ভোট কেন্দ্রের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। তার মধ্যে স্থাপনা নেই, ছোট জরাজীর্ণ, যাতায়াতব্যবস্থা নাজুক ও দুর্গম স্থানে ভোটকেন্দ্রের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রস্তাবিত ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪নং ক্রমিকে দক্ষিণ বিরবিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। প্রস্তাবিত এ ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা চার হাজার ৫২২। এর আগে এখানে ভোটকেন্দ্র ছিল না। প্রস্তাবিত এ কেন্দ্রটির স্থানে বর্তমানে কোনো স্থাপনা বা অবকাঠামো নেই। ওই স্থানে নতুন করে ভবন নির্মাণের জন্য পুরনো ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে ওই স্থানে ভবনের কাজ মাত্র শুরু হয়েছে, যা সম্পন্ন করতে আরো এক বছর সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য পাশের একটি ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল বাশারের বাড়িতে প্রথমে তৈরি করা হয় চারটি কক্ষ। পরে তড়িঘড়ি করে আরো দু’টি ছোট কক্ষ তৈরি করা হয়। এই কেন্দ্রে ৯টি বুথ ও একটি অফিস কক্ষের প্রয়োজন। কিন্তু এই পরিবেশে কিভাবে এতগুলো মানুষের ভোট নেয়া হবে তা নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে। ভোট ডাকাতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
প্রস্তাবিত কেন্দ্রটি দু’টি ওয়ার্ডের ভোটারদের নিয়ে গঠিত। দু’টি ওয়ার্ডের মাঝামাঝি বিরবিরি আকবরিয়া দাখিল মাদরাসায় কেন্দ্রটি প্রতিস্থাপন। দু’টি ওয়ার্ডে উল্লিখিত মাদরাসা ও উত্তর পশ্চিম জাহাজমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’টি কেন্দ্র করা যায় বলেও তাদের মত।
এ দিকে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) নির্বাচনী এলাকার আরো দু’টি কেন্দ্রে প্রায় একই সমস্যা রয়েছে। এর একটি হচ্ছে ৫৯নং কেন্দ্র মাকছুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে তিন হাজার ৩২৪ ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্রের প্রস্তাব করা হয়েছে। কেন্দ্রটি নদীভাঙনের মুখে রয়েছে। এ ছাড়া এলাকাটি জলদস্যু ও বনদুস্যদের নিয়ন্ত্রিত। দুর্গম এলাকা হওয়ায় পুলিশ কখনো এখানকার দস্যুদের গ্রেফতার করতে পারে না। রাস্তাঘাট নেই বললেই চলে। কোনো একটি দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশ আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। জোয়ারে রাস্তাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেখানে ভোটারদের উপস্থিতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনেক জনবল নিয়ে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন ছাড়া সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয় বলে এলাকাবাসীর মত।
অপর প্রস্তাবিত ভোটকেন্দ্র হলো ৪৪নং ক্রমিকের দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যে কেন্দ্রেও একটি নতুন ভবন নির্মাণাধীন। এখানেও কোনো কক্ষ তৈরি করা হয়নি। আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্ভাবনাও নেই। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে তিনকক্ষ বিশিষ্ট একটি জরাজীর্ণ একতলা ভবন রয়েছে। সেখানে কিভাবে আটটি বুথ ও অফিস কক্ষ স্থাপন করা হবে এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলমের সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা