২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাগেরহাটে সিডরের ১১ বছর পরও গড়ে ওঠেনি দুর্যোগ মোকাবেলা অবকাঠামো

-

সিডর ও আইলার ১১ বছর পরেও বাগেরহাটে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বেড়িবাঁধ গড়ে ওঠেনি। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আতঙ্ক কাটেনি উপকূলবাসীর। দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হলেও অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে হতাশায় ভুগছেন উপকূলবাসী। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা এলাকাবাসীর।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে প্রলয়ঙ্করী সুপার সাইকোন সিডর আঘাত হনে বাগেরহাটের উপকূলের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জসহ জেলার ৯টি উপজেলায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাগেরহটের জনপদের হাজার হাজার বাড়িঘর। পাশাপাশি মারা যায় নারী পুরুষ শিশু। পর্যাপ্ত সাইকোন শেল্টারের অভাবে সিডরে এ অঞ্চলে প্রাণহানির পরিমাণ বেশি ঘটেছিল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এরই মধ্যে সিডরের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও দুর্গত এলাকাগুলোতে নির্মাণ হয়নি পর্যাপ্ত সাইকোন শেল্টার ও বেড়িবাঁধ। অথচ এখনো প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ ষোলটি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। বাগেরহাটের ৯ উপজেলায় বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। তবে বিদ্যমান জনসংখ্যা অনুযায়ী আরো তিন শতাধিক সাইকোন শেল্টারের প্রয়োজন রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এখন যেকোনো সময় দুর্যোগের বিষয়ে অবহিত করলে মানুষকে সরিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সাইকোন শেল্টার পর্যাপ্ত নয়, আরো হলে ভালো হয়। এখনো কিছু কিছু কাজ চলছে। এ ব্যাপারে সরকারের আরো পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাগেরহাটের ৯টি উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল