২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভেলুরপাড়া স্টেশনে বাজে না ঘণ্টা, ওঠে না সিগন্যাল হাতা

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশনমাস্টার ও সিগন্যালম্যান না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় : নয়া দিগন্ত -

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রায় চার বছর ধরে স্টেশনমাস্টার ও সিগন্যালম্যান নেই। ফলে স্টেশনঘরের দরজা আর খোলে না, ঘণ্টাও বাজে না। ওঠে না সিগন্যাল হাতা। ওই স্টেশনে দুটি মেইল ট্রেন স্টপেজ থাকলেও কখন ট্রেন আসে আর কখন যায় তা জানতে পারেন না যাত্রীরা। তাই কমে গেছে সরকারের রাজস্ব আয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই স্টেশনে দুইজন স্টেশনমাস্টার, সিগন্যালম্যান একজন, গেট কিপার একজন, পয়েন্স ম্যান একজনের পদ থাকলেও বর্তমানে গেটকিপার একজন ও একজন সিগন্যালম্যান রয়েছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৩৭ সালে ভেলুরপাড়া স্টেশন স্থাপন করা হয়। ভেলুরপাড়া রেলস্টেশনে সিগন্যাল কেবিন, সিগন্যাল থাকলেও নেই স্টেশনমাস্টার ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক কর্মচারী।
ওই স্টেশনের সাবেক মাস্টার আজাহার আলী ২০১৫ সালের ২৯ জুন অবসরে গেছেন। এরপর রেল বিভাগ ওই স্টেশনের জন্য আর কোনো স্টেশনমাস্টারকে নিযুক্ত করেননি। তবে একজন স্টেশনমাস্টারকে প্রায় বছর খানেকের জন্য ডেপুটেশনে রাখা হয়েছিল বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এরপর থেকে দিনরাত ওই স্টেশনের ঘরটি বন্ধ থাকে। ওই স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো মালামাল বুকিং কিংবা রেলযাত্রীরা টিকিট কাটার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে সরকার প্রতিমাসে ওই স্টেশন থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ছাড়া ওই স্টেশনে সন্ধ্যার পর স্টেশনচত্বরে ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, স্টেশনমাস্টারের ঘরে পাশের মসজিদের বৈদ্যুতিক মোটরের সুইচ ও বাতির সুইচ থাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্টেশনে বাজানো হয় না ঘণ্টা। ট্রেন যেমনি আসে তেমনিই যায়। ওই স্টেশনে সন্ধ্যার পর বৈদ্যুতিক বাতি না জ্বলায় পুরো স্টেশনচত্বর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। পুরো এলাকা চলে যায় নেশাখোর ও জুয়াড়িদের দখলে। মাঝে মধ্যে ছিনতাই হয় পথচারীদের অর্থ, স্বর্ণলঙ্কার ও মোবাইল ফোন। ওই স্টেশনে রেলের দুটি লাইন থাকলেও দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে ট্রেনের ক্রসিং বন্ধ হয়ে গেছে।
এই স্টেশনের পার্শ্ববর্তী একটি শিক্ষানগরী এলাকা অবস্থিত। রয়েছে বিশাল বন্দর এলাকা। এখানে একটি ডিগ্রি কলেজ, দুটি মাদরাসা, একটি উচ্চবিদ্যালয়, তিন-চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্যাংক, বীমা, অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ৮-১০টি চাতাল রয়েছে। স্টেশনমাস্টার না থাকায় ওই রেলস্টেশনে মালামাল বুক করতে পারে না ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে রেল বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নওগাঁ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

সকল