২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লালমোহনের কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনগুলো জরাজীর্ণ

-

গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ১৯৯৯ সালে সারা দেশের মতো ভোলার লালমোহনেও ইউনিয়নপর্যায়ের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। লালমোহনে ৩৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পরই সেগুলোর কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক বছর এগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় ভবনগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে। ২০০৯ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো আবার চালু করা হয়। চালু হওয়ার পর থেকে এখানে কর্মরত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে ক্লিনিক ভবনগুলোর এখন যে অবস্থা তাতে এখানে কর্মরত চিকিৎসকেরাই সব সময় আতঙ্ক নিয়ে দিন পার করছেন। উপজেলার ৩৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চাঁদপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, সৈয়দাবাদ কমিউনিটি ক্লিনিক, ফাতেমাবাদ কমিউনিটি ক্লিনিক, নতুন বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা কমিউনিটি ক্লিনিক, কালমা ইউনিয়নের লেছ-ছকিনা কমিউনিটি ক্লিনিক, রমাগঞ্জ ইউনিয়নের আলহাজ হরজন আলী সিকদার কমিউনিটি ক্লিনিক, ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের মহেষখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, আসুলী কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ১৫টি ক্লিনিক ভবনই বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্লিনিক ভবনের ছাদের ওপর থেকে পলেস্তরা খসে পড়ছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। দেয়াল নষ্ট হয়ে গেছে। ছাদে ফাটল ধরায় বৃষ্টি এলে অনবরত পানি পড়ে। বৃষ্টির পানিতে মেঝে তলিয়ে যায়। টয়লেটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্লিনিকেই বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বেশির ভাগ ক্লিনিকের টিউবওয়েল অকোজো হয়ে পড়েছে। অবকাঠামোগত সমস্যাসহ বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সিএইচসিপিরা যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে পারছেন না। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন সিএইচসিপি, একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত প্রসূতি ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন।
ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা আমেনা বেগম, লাইজু ও ফারজানা বলেন, ভাঙা বিল্ডিংয়ে আসতে ভয় করে। তারপরও চিকিৎসা নিতে এখানে আসতে হয়। আমরা চাই রোগীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অতি দ্রুত ক্লিনিক ভবনগুলো নতুন করে নির্মাণ করা হোক।
নিজেদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে ফাতেমাবাদ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নিরব হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়ে। দরজা-জানালা ভেঙে রয়েছে। বিদ্যুৎ, পানি ও বাথরুমের ব্যবস্থা না থাকায় খুব অসুবিধা হচ্ছে। ক্লিনিকের ভেতরে বৃষ্টির পানি ঠেকাতে পলিথিন টানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন জুলহাস বলেন, পানি ও বিদ্যুৎব্যবস্থা না থাকায় সিএইচসিপি ও রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার মান ঠিক রাখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জরাজীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সংস্কার ও ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। এসব সমস্যার বিষয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুর রশিদ বলেন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সুপারিশক্রমে চলতি অর্থবছরে উপজেলার চারটি কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবনের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ক্লিনিকগুলোকে সংস্কারের আওতায় আনা হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি!

সকল