২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গুরুদাসপুরে বিসানী নদী পারাপারে দুর্ভোগ

-

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর শাখা বিসানী নদী এখন কচুরিপানার দখলে। প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বিসানী নদীতে ভাসছে ওই কচুরিপানা। পারাপার হতে পারছে না স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী। প্রতিদিন নদীর এপাড়ে খুবজিপুর, পিপলা ও নদীর ওপাড়ে খালিমাঝিরা, কাটাবাড়ি, কুন্দইল, বিন্নাবাড়ি, কুশাবাড়ি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ নদী দিয়ে পারাপার হয়। কিন্তু ২০ দিন ধরে নদীটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ থাকায় নৌকা পারাপার বন্ধ রয়েছে।
পিপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ খাতুন জানান, কচুরিপানার কারণে শিক্ষার্থীরা নদী পার হয়ে নিয়মিত স্কুলে আসতে পারে না। ক্লাসে এখন উপস্থিতি খুবই কম। আবার যে সব শিক্ষার্থী পরিবারের সাহায্য নিয়ে নদী পার হয়ে স্কুলে আসছে তারাও টিফিনে গেলে আর ফিরে আসছে না। কেননা নদীতে যে পরিমান কচুরিপানা সেখান দিয়ে নৌকা নিয়ে আসা খুবই কষ্টকর ও নৌকা পার হয়ে আসতেও দেড়-দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
সরেজমিন গিয়ে কথা হয় স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে। তারা বলে, নদীতে যখন কচুরিপানা ছিলো না তখন আমাদের নদীতে নৌকা পার হতে সময় লাগত মাত্র ৫ মিনিট। কিন্তু কচুরিপানা আসার কারণে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। এখন স্কুলে যাবার আগে বাসা থেকে বাবা-মা অথবা ভাইকে সাথে নিয়ে যাই। কারণ মাঝি একা একা কচুরিপানার মধ্য দিয়ে নৌকা নিয়ে যেতে পারেন না। তাই তারা নৌকার মাথায় বাঁশের লোগি দিয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করেন। আর মাঝি পেছন থেকে বৈঠা বাইতেন। তারপর নৌকা কিনারে পৌঁছাতো। এরপরও আমাদের স্কুলে যেতে প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা আরো বলে, কয়েকদিন ধরে নদীতে কচুরিপানা আরো বেশি হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুবজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন বলেন, কচুরিপানার বিষয়ে আমার জানা ছিল না। বিষয়টি সরেজমিন করে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement