১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কর্ণফুলী নদীতে দস্যুদের হামলা মনপুরার ১ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২

-

ভোলার মনপুরার ২১ জেলে চট্টগ্রামের বেঙ্গল কোম্পানির মুক্তারমালা-২ ট্রলারে মাছ শিকারে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার সময় কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন সাগরে স্পিডবোটে দস্যুরা হামলা চালায়। এ সময় দস্যুরা ট্রলারে মাঝি কালামসহ অনেককে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। তখন সাগরে ভাসতে থাকা ২১ জেলের মধ্যে ১৮ জেলেকে একই কোম্পানির অপর দু’টি ট্রলার উদ্ধার করলেও তিন জেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি।
গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর খাড়ীর গ্রিন ভয়া সংলগ্নসাগর মোহনায় দস্যুদের হামলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ তিন জেলের মধ্যে কামাল উদ্দীনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ অপর দুই জেলে হলেনÑ মফিজ ও নজরুল ইসলাম। তাদের সবার বাড়ি মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে।
মুক্তারমালা-২ ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জানান, শুক্রবার রাতে ইলিশ শিকারের জন্য চট্টগ্রামের বেঙ্গল কোম্পানির মুক্তারমালা-২ ট্রলারে করে কর্ণফুলী নদীর খাড়ির গ্রিন ভয়া সংলগ্নসাগর মোহনায় পৌঁছলে একদল দস্যু স্পিডবোটে এসে ট্রলারে উঠে হামলা করে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে ২১ জেলেকে সাগর মোহনায় ফেলে দেয়। পরে সাগরে ভাসতে থাকা ২১ জেলের মধ্যে ১৮ জেলেকে ওই দিনই বেঙ্গল কোম্পানির অপর দুই ট্রলার উদ্ধার করে। কিন্তু তিন জেলে নিখোঁজ থাকে। রোববার সকালে নিখোঁজ তিন জেলের মধ্যে এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে দুই জেলে। মুক্তারমালা-২ ট্রলারে থাকা ২১ জেলের বাড়ি মনপুরা উপজেলায়। তারা সবাই একে অপরের আত্মীয় বলে জানান আবুল কালাম মাঝি।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি ফোরকান আলী জানান, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীতে জলদস্যুদের হামলার শিকারে নিখোঁজদের বিষয়ে তাকে কেউ এখনো বলেনি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি অন্য থানার আওতায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement