২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বরিশালে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে নগরবাসী বিব্রত

-

বরিশাল নগরীসহ জেলার সর্বত্র মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুরো নগরীতেই ভাগ্য বিপর্যয়ের শিকার এসব মানুষের দেখা মেলে। পথচারীদের অনেকেই পথ চলাচলে হন বিব্রত। এসব রোগী নগরীর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষের ওপরে চড়াও হয় অহরহ।
বিশেষ করে তাদের যন্ত্রণায় আতঙ্কে থাকেন হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা। সময় বিশেষে এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে খাবার সামগ্রী লুটে নেয়া বা ফেলে দেয় ওরা। গত মঙ্গলবার রাতে মানসিক ভারসাম্যহীন বিশোর্ধ্ব এক যুবতী লঞ্চঘাট লাগোয়া একটি হোটেলে হানা দিয়ে প্রথম দফায় খাবার নিয়ে যায়। অবশ্য দোকানিও অনেকটা খুশি মনে তার হাতে বেশ কয়েকটি রুটি তুলে দেন। পরণেই ওই যুবতী দোকানের ভেতরে হানা দিয়ে ভোজনরত এক ব্যক্তির খাবার প্লেটে জগভর্তি পানি ঢেলে দেয়। এমনকি এতে খুশি হয়ে লাফালাফিও শুরু করে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবতী। ফলে যুবতীর ওপর দোকান মালিক েেপ যান। কিন্তু যুবতী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ঘটনাটি বেশিদূর গড়ায়নি।
প্রত্যদর্শীরাও বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন। এতেই সীমাবদ্ধ না থেকে সেখানে বসেই ওই যুবতী পাশের এক যুবককে ল্য করে পাথর ছুড়ে মারে। ভাগ্যক্রমে পাথর ল্যভ্রষ্ট হওয়ায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায় ওই যুবক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একইভাবে আরো কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষ বরিশাল নগরীর রূপাতলী, নথুল্লাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এমনকি প্রায়ই নগরীতে দুই-একজনকে বস্ত্রহীন অবস্থায় ঘুরতে দেখা যায়।
মানসিক ভারসাম্যহীনদের বোঝাতে গিয়েও অনেককেই হেনস্থা হতে হয়েছে। ফলে তাদের প্রতি অনেকেরই মনে অসন্তোষ রয়েছে। তারপরেও মানবিকতার কারণে তাদের প্রতি নির্দয় হওয়ার উদাহরণ নেই। বরিশাল সমাজ সেবা অধিদফতরের প থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে তোড়জোড়ের খবর শোনা গেলেও কার্যত তা দৃশ্যমান নয়।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদফতরের বরিশাল অফিসের সহকারী পরিচালক এ কে এম আখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, কিছু মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হয়েছে ও অনেককে পাবনার মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে সেখান থেকে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এ অবস্থায় বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে তাদেরকে পুনর্বাসনের আওতায় আনার কার্যকর কোনো পদপে গ্রহণ করা যায় কি না, সে ব্যাপারেও ভেবে দেখা হচ্ছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: তপন কুমার সাহা বলেন, মনোরোগে আক্রান্ত মানুষের প্রয়োজন যথাযথ পরিচর্যা। যা সম্ভব কেবল জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই।


আরো সংবাদ



premium cement