মাল্টা চাষে আবু বক্করের চমক
- ফজলুর রহমান নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
মাল্টা বাগান করে বগুড়ার নন্দীগ্রামে চমক সৃষ্টি করেছেন উপজেলার টাকুরাই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক। পৌর শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে তার বাগানে ছোট ছোট গাছে এখন ঝুলছে মাল্টা।
মাল্টাচাষি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ২০১৭ সালে নিজ গ্রামে ৫৪ শতক জমির ওপর গড়ে তোলেন তার মাল্টা বাগান। এটাই উপজেলার প্রথম মাল্টার বাগান বলে তার দাবি। তার বাগানে পাকিস্তানি জাতের ২৩৫টি মাল্টাগাছ লাগানো হয়েছে। একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে ২৩০টি থাই পেয়ারা, ২২০টি থাই লেবু, ২০টি আমগাছ, পাঁচটি কমলাগাছ, ১২০০টি লিচুগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। চারা রোপণের দেড় বছরেই মাল্টা ধরা শুরু করেছে। মাল্টার ২৩৫টি গাছের মধ্যে ১৬টি গাছে ফল এসেছে। প্রতিটি গাছে পাঁচটা থেকে ৫০টি পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে মাল্টা, যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
এলাকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নন্দীগ্রামে ভালো ভালো অনেক জমি রয়েছে, যা মাল্টা চাষের উপযোগী।’ তা প্রমাণ করে দিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক। তাকে দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উৎসাহিত হয়ে মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আবু বক্কর সিদ্দিকের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, মাল্টাগাছের মধ্যে মধ্যে থাই পেয়ারাগাছ। তার পাশে থাই লেবুগাছে অপরূপ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। সবুজের বুকে অন্য রকম এক সবুজের হাতছানি। তার ফসলি জমিজুড়ে রয়েছে মাল্টা, পেয়ারা, লেবু, লিচু ও আমগাছ। তার এ মাল্টা চাষ দেখে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক ও কৃষক মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মশিদুল হক বলেন, এই উপজেলার মাটি অনেক উর্বর ও মাল্টা চাষের উপযোগী। মাল্টা চাষের এই সফলতা আগামীতে কৃষককে আরো অনুপ্রেরণা জোগাবে এমনটাই মনে করি আমরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা