১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চিলমারীর ভাসমান ডিপো তেলশূন্য

বেকার ৩ শতাধিক শ্রমিক
-

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে অবস্থিত যমুনা ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ভাসমান তেল ডিপো দু’টি প্রায় পাঁচ মাস ধরে তেলশূন্য রয়েছে। এতে তেল বাজারের ওপর নির্ভরশীল তিন শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ডিপো অনুমোদিত চিলমারী উপজেলার ২৩ জন ডিলার। ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডিপো সুপারদের অবহেলায় ডিপো দু’টি তেলশূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চিলমারী উপজেলায় যমুনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ১৬ জন ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের সাতজন অনুমোদিত তেল ডিলার রয়েছেন। এ ছাড়া ডিপো দু’টি থেকে কুড়িগ্রামের উলিপুর, সদর, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ী এবং লালমনিরহাট জেলার ১৫ থেকে ১৬ জন ডিলার তেল কেনেন। তারা সেচ মওসুমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় হাজার ব্যারেল ও অন্য সময় প্রতিদিন ৭০০ ব্যারেল তেল ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে ডিপো দু’টি তেলশূন্য হয়ে গেলে ওই ডিলাররা চরম বিপাকে পড়েন।
ডিলারেরা প্রতি লিটার তেল ৬২ টাকা ৫১ পয়সায় ডিপো থেকে কেনেন। আর খুচরা বিক্রি হয় ৬৫ টাকায়।
বর্তমানে যমুনা ও মেঘনা ডিপো দু’টি তেলশূন্য হওয়ায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে সড়কপথে তেল পরিবহন করছেন ডিলারেরা। এতে তাদের ১ লরি অর্থাৎ ৯ হাজার লিটার তেল আনতে অতিরিক্ত পরিবহন ও শ্রমিক খরচ হয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার টাকা, যা প্রতি লিটারে প্রায় ১ টাকা ৭৫ পয়সা বেশি। সব মিলিয়ে ডিলারদের খরচ হয় ৬৪ টাকা ২৬ পয়সা। আর খুচরা ক্রেতাদের তেল কিনতে হচ্ছে ৬৭-৬৮ টাকায়। এতে প্রায় প্রতিদিন ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত লেনদেন হচ্ছে।
এ ছাড়াও তেল সঙ্কটের কারণে ডিলারদের হাতে থাকা দীর্ঘ দিনের খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আবার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পড়ে থাকা বকেয়াও তুলতে পারেছেন না ডিলারেরা।
অপর দিকে ডিপো দু’টি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন খেটে খাওয়া তিন শতাধিক শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
চিলমারী ভাসমান তেল ডিপো দু’টিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা তেল বাজার জোড়গাছ বাজারে কথা হয় খুচরা তেল ব্যবসায়ী নুর-ই আলম বাদল, রাশেদুল ইসলাম, মমিনুল, ধীরেন্দ্র নাথসহ অনেকের সাথে। তারা বলেন, বর্তমানে দূর থেকে তেল আনতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।
তেল ব্যবসায়ী নজির অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী মাইদুল ইসলাম জানান, পার্বতীপুর ও বাঘাবাড়ি থেকে সড়কপথে তেল পরিবহন করলে লিটার প্রতি প্রায় ২ টাকা বেশি খরচ হয়।
এ ব্যাপারে মেঘনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো সুপার আবু সাঈদ জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তেল সরবরাহ করলে বিতরণে কোনো বাধা নেই। মেঘনা কোম্পানির এজিএম (সাপ্লাইয়ার ও ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ, চট্টগ্রাম) টিপু সুলতান মোবাইল ফোনে বলেন, আমরা তেল পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল