২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাটমোহর-মান্নাননগর সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা

-

চাটমোহর থেকে হান্ডিয়ালগামী কোমল পানীয় বোঝাই একটি অটোভ্যান খানাখন্দে ভর্তি রাস্তার গর্তে পড়ে উল্টে গেল। কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না চালক। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন আশপাশের মানুষ। দুই-তিন মিনিটের মাথায় পথচারীসহ পাঁচ-ছয়জন ব্যক্তি উল্টে যাওয়া ভ্যানটি রাস্তার গর্ত থেকে তুলে দিতে এগিয়ে এলেন। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর ভ্যানটি তুলতে সমর্থ হন তারা। আপাতত স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলেন চালক। ফের তিনি রওনা হলেন গন্তব্যে।
এর এক শ’ মিটারের মতো দক্ষিণে রাস্তার গর্তে পড়ে আটকে আছে ঢাকার একটি ট্রাক। ট্রাকের চালক সোহেল রানা জানান, ভাঙ্গুড়া থেকে ১০ টন ধান বোঝাই দিয়ে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ পথ হয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে এখানে ট্রাকটি শুকনো রাস্তায়ই গর্তে পড়ে যায়। ট্রাক তোলার চেষ্টা করলে গর্তটিও ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। রাস্তার সাথে লেগে যাওয়ায় ট্রাকের সামনের শেফটের ক্রসও ভেঙে যায়। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ট্রাকটি গর্ত থেকে উত্তোলন করতে পারেননি চালক। এর কারণ হিসেবে রাস্তায় নিম্নমানের কাজকেই দায়ী করেন তিনি।
কিছুটা দূরে আটকে রয়েছে আরো একটি ট্রাক। রাস্তার বড় গর্তে আটকে থাকা ট্রাকটির পূর্ব পাশের রাস্তার অবশিষ্টাংশ আরো বেশি ভগ্নদশায় পতিত হওয়ায় অন্য ট্রাক চালকেরা সেখান দিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই অপেক্ষা করছেন। কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তাদের।
ট্রাকের চালক চাঁপাইনবাবগঞ্জের আউয়াল হোসেন জানান, গার্মেন্ট ঝুট নিয়ে ঢাকা থেকে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। ধান বোঝাই একটি ট্রাক গর্তে আটকে পড়ায় অহেতুক সময় নষ্ট হচ্ছে তার। তিনি গন্তব্যে যেতে পারছেন না। ঘটনাস্থল চাটমোহর-মান্নাননগর সড়কের বওশা ব্রিজের উত্তর পাশের কুজোর মোড় এলাকা। ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরের চিত্র এটি।
এ সড়কে এমন ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিন। তিন বছর আগে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। কাজের শুরু থেকেই রোড রোলার দিয়ে ঠিক মতো রোলার করা হচ্ছে না এমন অভিযোগ থাকলেও তা আমলে না নিয়ে নিজের মতো করে কাজ সারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখন যার ফল ভোগ করছেন এ রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন চালকেরা।
রাস্তাটির শত শত জায়গায় এমন খানাখন্দে ভরা হওয়ায় সিএনজি অটোরিকশার চালক, যাত্রী, মোটরসাইকেল চালকেরাও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। খানাখন্দে পড়ে নষ্ট হচ্ছে গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এলাকাবাসী অতি দ্রুত জনবহুল এ রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায় জানান, এ রাস্তায় ২০ টনের অধিক পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করার নিয়ম না থাকলেও ৩০ থেকে ৪০ টন মালবাহী ট্রাকও চলাচল করছে। ফলে আমরা সংস্কার করলেও তা টেকসই হচ্ছে না। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা সচেষ্ট আছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement