২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পেঁপে ও লেবু চাষে বাদলের ভাগ্য বদল

-

টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের শামছুল হকের ছেলে আশিক ইকবাল বাদলের পেঁপে ও লেবু চাষে ভাগ্য বদল হয়েছে। অল্প সময়ে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হয়েছেন তিনি। পাহাড়ি এলাকায় তিনি লেবু চাষ করে কৃষি জীবন শুরু করলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন পেঁপে চাষ করে।
জানা যায়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে গ্লানি পোহাতে হয় আশিক বাদলকে। দীর্ঘ দিন কাটান প্রবাস জীবন। ইচ্ছা জাগে দেশেই কিছু করবেন। কিন্তু কি করবেন এ প্রশ্নে বারবার হোঁচট খেতে হয় তাকে। অবশেষে স্থানীয় সফল কৃষক মোসলেম উদ্দিনের সহযোগিতায় লেবু বাগান করেন। নিজ এলাকায় চার একর জমি লিজ নেন প্রতি একর বছরে ২৫ হাজার টাকা করে। প্রথম বছরে তেমন লাভ হয়নি। পরের বছর খরচ বাদে দুই লাখ টাকা লাভ হয়। এ লাভের টাকা দিয়ে একই মালিকের আরো পাঁচ একর জমি লিজ নিয়ে পেঁপে চাষ শুরু করেন। ২০১৬ সালে পরীক্ষামূলক ১ হাজার ৫০০ পেঁপে চাষ করেন। ফলন ভালো হলে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ একর জমিতে পাঁচ হাজার শাহীজাতের পেঁপে চারা লাগান। ওই বাগানে পেঁপে ফলনের আশা করা হচ্ছে ৫০ টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৯ লাখ টাকা। স্থানীয় কৃষকদের কাছে আশিক ইকবাল বাদল এখন রোল মডেল। পেঁপে চাষ করে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় অন্যান্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন সবজি জাতীয় এ ফলকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করতে।
কৃষক আশিক ইকবাল বাদল বলেন, জমি লিজ, চারা, সার, কীটনাশক, শ্রমিকসহ নানা খরচ বাবদ এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এ মাসেই ৫০ টন পেঁপে বিক্রি করা যাবে।
সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ভূঁইয়া ফাইজুল ইসলাম বলেন, পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ পেঁপের চাহিদা ব্যাপক। পেঁপে চাষে একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা মেটায় অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবেও সাবলম্বী হওয়া যায়। ছয় মাসের মধ্যে এ জাতের পেঁপে বাজারজাত করা যায়। একটি গাছে চার থেকে পাঁচ মণ পেঁপে আসে।


আরো সংবাদ



premium cement