২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কালকিনির সাহেবরামপুর স্কুলে ৫ ঘণ্টা বাধ্যতামূলক নৈশকাস

-

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে সরকারি আদেশ অমান্য করে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের আদেশে বিশেষ কাসের নামে চলছে কোচিংবাণিজ্য। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এ কোচিং কাস। উপজেলা শিক্ষা অফিস বিষয়টি জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
রাতে সরেজমিন দেখা যায়, কয়েক শ’ ছাত্রছাত্রীর কাস চলছে। নবম শ্রেণীর মেধা তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় ছাত্রকেও দেখা গেছে বিশেষ কাসে। তারা কেন বিশেষ কাসে এসেছে জানতে চাইলে তারা তাদের শিকের দিকে তাকিয়ে বলে আমরা কয়েকটি বিষয়ে দুর্বল। জেএসসি পরীায় তারা উভয়ে গোল্ডেন প্লাস পেয়েছে বলে জানায়।
ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে, বাড়িতে পড়া হয় না তাই এ কাসে আসি।
বিদ্যালয়ের বাইরে সন্তানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা কয়েকজন অভিভাবক বলেন, আমরা কী করবো। স্কুল বাধ্যতামূলক করেছে তাই রাতে কাস করাতে হয়। আমরাও সব সময় টেনশনে থাকি রাতে যদি কোনো বিপদ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সাহেবরামপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা উপজেলা শিা অফিসারের অনুমতিতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছি। রাতে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রীদের কোনো সমস্যা হলে তার দায় কে নিবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি তেমন করে ভাবিনি কখনো। তবে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি, সবকিছু দেখে মনে হয়েছে বিষয়টি ভালো। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছি যদি অভিভাবকরা এই কাস করাতে চায় তাহলে যেন করে। আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিভাবক অভিযোগ করেননি।
মাদারীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রমেশচন্দ্র বিশ্বাস জানান, বিষয়টি জানতাম না এখন জানলাম। যদি এ রকম হয় আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো। আর রাতে কাস নেয়ার কোনো নিয়ম নেই।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলবো।

 


আরো সংবাদ



premium cement