২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রূপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার থাকেন ২ ঘণ্টা

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের জন্য রোগীদের অপেক্ষা : নয়া দিগন্ত -

সময় তখন সকাল ১০টা। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেও কোনো ডাক্তারের দেখা মিলেনি। অথচ তখন রোগীদের লম্বা লাইন দেখা যায়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডাক্তারদের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। ডাক্তাররা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন সকাল ১০টায় চলে যান ১২টায়। এতে করে প্রতিনিয়ত রোগীদের ভোগান্তি বাড়েই চলেছে।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা: এ কে এম সোহেবকে কক্ষে প্রবেশ করেন। তার কাছে দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই। যখন ইচ্ছা আমি অফিসে আসব।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, তিন বছর ধরে ডাক্তার সোহেব রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন। তিনি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেন বলেই বেশির ভাগ সময়ই তিনি অনুপস্থিত থাকেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার কাছে যেসব রোগী আসেন তাদের তিনি বেসরকারি কোনো হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে তিনি নিয়মিত কমিশন পান বলে অভিযোগ রয়েছে।
একই দিন বেলা ১১টার পরও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান মাহমুদ তার কক্ষে আসেননি। অভিযোগ রয়েছে, রাশেদুল হাসান মাহমুদ মিটিংয়ের অজুহাত দেখিয়ে সময় মতো হাসপাতালে আসেন না।
আইএমসি ও পুষ্টি কর্নার কনসালট্যান্ট শিশুবিশেষজ্ঞ মাহমুদুর রহমান সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে কক্ষে প্রবেশ করেন। দেরিতে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম।
গাইনি বিশেষজ্ঞ নাছরিন সুলতানা ও সাদিয়া জেনিফ ৯টা ৪৫ মিনিটে কক্ষে প্রবেশ করেন। দেরির কারণ জিজ্ঞাসা করলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। আরেক গাইনি কনসালট্যান্ট সালমা আক্তার ওয়ালিদা মাসের বেশির ভাগ সময়ই অনুপস্থিত থাকেন।
স্বাস্থ্য সহকারী শিরিনা আক্তার ১০টা ৩০ মিনিটে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। তার কক্ষের সামনেও ছিল রোগীদের ভিড়।
উপজেলার তারাবো পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকা থেকে আসা রোগী রেহান উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে থেকে তিনি যক্ষ্মা রোগের ওষুধের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো দেখা নেই। রোগী তানিয়া আক্তার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে রোগীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, আমি স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি মিটিংয়ে ছিলাম। এছাড়া হাসপাতালে আসতে গিয়ে হয়তো কারো কারো কিছুটা সময় অতিক্রম হয়ে যায়। এছাড়া অন্য অভিযোগগুলো সঠিক নয়।


আরো সংবাদ



premium cement