২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কটকস্থলে রাস্তার বেহাল দশা, একমাত্র ব্রিজ চলাচলের অনুপযোগী

-

দীর্ঘ একযুগ ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের কটকস্থল গ্রাম। যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় ওই এলাকায় প্রশাসনের লোকজনও যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছেন।
সরেজমিন জানা গেছে, গ্রামটির চারঘাটার একমাত্র ব্রিজটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি বর্ষা মওসুমে কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশেই বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের উত্তরপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কটকস্থল গ্রাম হয়ে বাউরগাতী গ্রাম ও টরকী বন্দরে যাতায়াতের একমাত্র কাঁচারাস্তাটি দীর্ঘ দিনেও পাকা হয়নি। বর্ষায় এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও দুরূহ। রাস্তায় ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে হাঁটু সমান কাঁদা পেরিয়ে কটকস্থল গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে চলাচল করতে হয়। এ ছাড়া ওই রাস্তার মধ্যকার একমাত্র চারঘাটা ব্রিজটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার হয়নি। এটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা নাজেম আলী সরদার বলেন, কটকস্থল গ্রামে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধার বাস। তাই এ গ্রামটিকে সবাই মুক্তিযোদ্ধার গ্রাম নামে চেনে। এই গ্রামে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দু’টি মাদরাসা, তিনটি জামে মসজিদ থাকলেও চলাচলের জন্য এক মাত্র কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘ দিনেও পাকা করা হয়নি। এ ছাড়া একমাত্র ব্রিজটিও চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ওই গ্রামের পানচাষি আব্দুর রব সরদার বলেন, কষ্ট করে চাষাবাদ করলেও যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বাজারে পান সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না
চারঘাটা মসজিদের ইমাম আবু সালেহ বলেন, দীর্ঘ দিন আগে গ্রামের মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ভাঙাব্রিজের ওপর কাঠ দিয়ে বিকল্পভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গত কয়েক মাস আগে বিকল্প ব্যবস্থাও ভেঙে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement