২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পদ্মায় পড়েও প্রাণে বাঁচলেন লঞ্চযাত্রী ফয়সাল

বাঁশের সাহায্যে উঠানো হচ্ছে পদ্মা নদীতে পড়ে যাওয়া যাত্রী ফয়সালকে :নয়া দিগন্ত -

প্রচণ্ড ভিড়ে তড়িঘড়ি করে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পদ্মা নদীতে পড়েও প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় বেঁচে গেলেন সাঁতার না জানা ফয়সাল নামের এক লঞ্চযাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দুপুরে শিবচরের কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটে। এর আগে গত ২৩ মে রাতে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মায় পড়ে শহিদুল ইসলাম নামে এক লঞ্চযাত্রী নিখোঁজ হন। পরদিন তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাট হয়ে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ঢল নামে। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে এ দিন কানায় কানায় পূর্ণ ছিল যাত্রীতে। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল লঞ্চঘাটে। বেগতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে সকাল থেকেই লঞ্চঘাটে অবস্থান নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ, বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক কবির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা। দুপুরে লঞ্চঘাটে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে মোহাম্মদ ফয়সাল (২৬) নামে এক যাত্রী কাঁধে ঝোলানো ব্যাগসহ একটি লঞ্চে উঠতে গেলে পদ্মা নদীতে পড়ে যান।
তার চিৎকারে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এগিয়ে আসেন। কিন্তু নদী থেকে পন্টুুনে উঠানোর কোনো সরঞ্জাম না থাকায় সবাই শঙ্কিত হয়ে ওঠেন। পরে একটি বাঁশের সহযোগিতায় হাত টেনে উঠানো হয় তাকে। লঞ্চঘাটে মোটা রশিসহ পানি থেকে যাত্রী উত্তোলনের সরঞ্জাম না থাকায় এ সময় লঞ্চসম্পৃক্তদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক। পরে ফয়সালকে শিমুলিয়াগামী লঞ্চে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ফয়সাল ঈদ উপলক্ষে শিবচরের আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ফয়সালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তার বাবার নাম বোরহান উদ্দিন।
পানি থেকে উদ্ধার ফয়সাল বলেন, তাড়াহুড়া করে উঠতে গিয়ে নদীতে পড়ে গিয়েছিলাম। সাঁতার কাটতে পারি না, তাই খুব ভয় পেয়েছিলাম।

 


আরো সংবাদ



premium cement