নিউজিল্যান্ডে হামলায় ২ বাংলাদেশি নিহত, আহত ৮
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৭
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহত ৪০ জনের মধ্যে অন্তত দুইজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি হামলায় আহত হয়েছেন আরো ৮ জন বাংলাদেশি। হামলার ঘটনায় মসজিদ আল নুর-এ কমপক্ষে ৩০ জন ও পার্শ্ববর্তী লিনউড মসজিদে ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় দুই বাংলাদেশি নাগরিকের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সফিউর রহমান। আহত অনেক ব্যক্তিকে স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এম সফিউর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত দুজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তাদের নাম–পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গুলিবর্ষণের ঘটনায় আহত দুই বাংলাদেশি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরো দুজন বাংলাদেশি নিখোঁজ আছেন বলে জানতে পেরেছি।
হাইকমিশনার জানান, হতাহত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিউজিল্যান্ড সরকারের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাদের নাম পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর গণমাধ্যমে জানানো হবে।
তিনি বলেন, দুটি জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং কয়েকটি হাসপাতালে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই বিস্তারিত জানাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে বলে মনে করছি।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সেখানকার দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
অপরদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজিল্যান্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান চৌধুরী জানান, ওই এলাকায় অনেক বাংলাদেশি থাকেন। তারা ওই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে যান। ঘটনার পর কয়েকজনের খোঁজ মিলছে না বলেও তিনি জানান।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদে নামাজ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি ছুড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছে।
আরো পড়ুন : নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০
ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০ বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, ডিনস অ্যাভিনিউ মসজিদে ৩০ জন ও লিনউড অ্যাভিনিউ মসজিদে ১০ জন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এটা এখন পরিষ্কার যে, এটা শুধুমাত্র সন্ত্রাসী হামলা হিসেবেই বলা যায়। এর আগে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন আজ নিউজিল্যান্ডের একটি ‘অন্ধকারতম দিন’।
তিনি বলেন, এখানে যা ঘটেছে তা অভাবনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এ গুলিবর্ষণের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের অনেকেই নিউজিল্যান্ডে অভিবাসী ছিলেন।
‘তারা এখানে শরণার্থী ছিলেন। তারা নিউজিল্যান্ডকে তাদের আবাসস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এবং এটা তাদের আবাসস্থল’, বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘এরা আমাদের লোক। যে আমাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন, তিনি নন। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের স্থান হবে না।’
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নামাজরত মুসল্লিদের উপর হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। এ ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
এক বন্দুকধারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার ভিডিও লাইভ সম্প্রচার করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা