২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

 অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় কুমির

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের টাউন্সভিল শহরের বন্যাকবলিত রাস্তায় লোনা পানির কুমিরকে চরে বেড়াচ্ছে - সংগৃহীত

কয়েক দিনের টানা বর্ষণের পর বাঁধ খুলে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টাউনসভিল ও আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের রোস নদীর পানির উচ্চতা বাঁধের ধারণক্ষমতাকে ছাপিয়ে যাওয়ায় ফটকগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বাড়িঘর, স্কুল ও বিমানবন্দর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং হাজার হাজার লোক বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। ভয়াবহ এই বন্যায় পথঘাটগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে এবং কুমির রাস্তায় চলে এসেছে।

গতকাল সোমবার অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স উপদ্রুত এলাকায় বালুর ব্যাগ সরবরাহ করেছে, উভচর মালবাহী যানবাহন মোতায়েন করেছে ও আটকে পড়া বাসিন্দাদের ছাদ থেকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করেছে। মওসুমি বৃষ্টিপাতে কুইন্সল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উত্তরাঞ্চলে বর্ষা মওসুমে সাধারণত ভারী বৃষ্টিপাত হয়। তবে এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের পথ খুলে দিয়েছে। বন্যার পানির স্রোতের গতিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলছে তারা। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত টাউনসভিলে গাড়িগুলো পানিতে প্রায় ডুবে গেছে। 

ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্থানীয়দের আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে অন্ধকারেই দিন কাটানোর পাশাপাশি কুমির ও অন্যান্য হিংস্র সরীসৃপ থেকেও সতর্ক থাকতে হচ্ছে। বন্যা উপদ্রুত টাউনসভিলে বেশ কয়েকটি লোনাপানির কুমির দেখা গেছে। জরুরি সংস্থাগুলো ভয়াবহ এই দুর্যোগের সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছে না। শুধু রোববার রাতেই জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ১৮ জনকে পানি থেকে উদ্ধার করেছে। এরা বন্যার পানির স্রোতের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিল। রাজ্যপ্রধান আনাস্তাসিয়া প্যালাজজুক বলেন, এক হাজার ১০০ জনের বেশি লোক জরুরি সহায়তা চেয়েছে। টাউনসভিলের প্রায় ৪০০ বাসিন্দা নিকটস্থ লাভারাক সেনা ব্যারাকে আশ্রয় নিয়েছে। বছরে এই অঞ্চলে গড়ে ৮০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। তবে কোনো কোনো শহরে ইতোমধ্যেই এর চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এবারের এই বৃষ্টিপাত অবশ্য কুইন্সল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে খরাকবলিত কৃষকদের স্বস্তি এনে দিয়েছে। অঞ্চলটিতে মারাত্মক খরা চলছিল।

সূত্র : এএফপি ও বিবিসি

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে ‘শতাব্দীর ভয়াবহ’ বন্যা
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পথঘাটগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উত্তরাঞ্চলে এই সময়ে বর্ষা মওসুমে সাধারণত ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কুইন্সল্যান্ডের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় টাউনসভিল নগরীর হাজার হাজার বাসিন্দাকে বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ২০ হাজার বাড়িঘর পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপদ্রুত এলাকায় সেনাসদস্যরা হাজার হাজার বালুর ব্যাগ সরবরাহ করছে। কুইন্সল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনাস্তাসিয়া প্যালাজজুক বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। গত শনিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ২০ বছরে একবার হয় না, এমন ভয়াবহ দুর্যোগ শতাব্দীতে একবার ঘটে।’
রোববার এবিসি টেলিভিশনে আবহাওয়াবিদ জনাথন হাউ বলেন, ‘আমরা আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে আরো ভারী বৃষ্টিপাত দেখতে পারি।’ অঞ্চলটিতে গড়ে বছরে ছয় দশমিক পাঁচ ফুট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে এ বছর ইতোমধ্যেই তা ছাড়িয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলার শিরোপা বাঘা শরীফের হাতে ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি করা জটিল হলেও সম্ভব : রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি তামাকের ব্যবহার রোধে কর বাড়ানোর আহ্বান ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণসভা টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ, আদেশ ২৯ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাব সদস্য আফতাব হোসেনের ইন্তেকাল শনিবার থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রস্তুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হলেন সাব্বির আহমেদ ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সংবিধানবিরোধী নয় গাজীপুরে জামায়াতের ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করার নিন্দা

সকল