১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অস্ট্রেলিয়া মেয়েদের জন্য কেন এতো বিপজ্জনক?

- ছবি : বিবিসি

গত সপ্তাহেই এক তরুণীর হত্যাকাণ্ডের খবরে দারুণ ধাক্কা খেয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার মানুষ।

একুশ বছর বয়সী ইসরাইলি আরব এই তরুণীর নাম আয়া মাসারভি।

তিনি মেলবোর্নে হেঁটে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

তার মৃত্যুর ঘটনা ব্যাপক ক্ষোভ ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়, বিশেষ করে নারী বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে।

নিহত এই তরুণীর পরিবার বলছে মিস মাসারভি অস্ট্রেলিয়াকে সব সময় নিরাপদ মনে করতেন এবং সে কারণেই তিনি এখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পড়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন।

তবে তার আগেও আরও কয়েকটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়াতে সাম্প্রতিক সময়েই এবং সেগুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

পরিসংখ্যান কী বলছে?
অস্ট্রেলিয়াতে প্রতি তিনজন নারীর একজন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন এবং যৌন সহিংসতার শিকার হন প্রতি পাঁচজনে অন্তত একজন।

দেশটির আদিবাসীদের ক্ষেত্রে এ ধরণের সহিংসতার হার আরও অনেক বেশি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি দশজন নারীর একজন সহিংসতার অভিজ্ঞতা পান অপরিচিত কারও দ্বারা।

আর পারিবারিক সহিংসতা দেশটিতে প্রায় নিয়মিত ঘটনা এবং গড়ে প্রতি সপ্তাহে একজন নারী খুন হন তাদের বর্তমান বা সাবেক পুরুষ সঙ্গীর হাতে।

‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা যার সর্বোচ্চ রূপ হলো খুন। কিন্তু এটিই নিয়মিত হচ্ছে। নারীর ঘরেই আহত হচ্ছে শারীরিক ও মানসিকভাবে,’ বলছিলেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়ার্ক বিশেষজ্ঞ রুথ ফিলিপস।

তার মতে, ‘এটি একটি মারাত্মক সমস্যা।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কী ঘটেছে?
আলোচিত কিছু খুনের ঘটনা বিষয়টিকে জাতীয় পর্যায়ের আলোচনায় নিয়ে এসেছে।

মেলবোর্নের একটি এলাকায় কমেডিয়ান ইউরাইডাইস ডিক্সনের হত্যার ঘটনায় বিতর্ক জোরদার হয়েছিলো।

এর কয়েক মাসের মাথায় শুধু অক্টোবরেই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রাণ হারিয়েছে এগারো নারী।

মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ক গবেষক কেলসলি হেগার্টি বলছেন, ‘অনেক সময় নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা একটি পর একটি ঘটতেই থাকে। এবং বাস্তবতা হলো গোপন মহামারীর মতো রয়েছে হয়রানি ও সহিংসতার বিষয়গুলো।’

এর আগে ২০১২ সালে আইরিশ নারী জিল মিয়াগের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিলো।

এখন আবার সেই একই প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে আয়া মাসারভির মৃত্যুর ঘটনায়।

জি-২০ জাতিসমূহের মধ্যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান অষ্টম।

সমাধানে করণীয় কী?
২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার সরকার নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা কমিয়ে আনতে একটি নীতি প্রণয়ন করে।

তারপরেও গবেষক ফিলিপ ও অন্যরা বলছেন যে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা তাই বিষয়টির ওপর আরো জোর দেয়ার দাবি করছেন।

দেশটি যৌন বৈষম্য বিষয়ক কমিশনার কেট জেনকিনস বলেছেন, ‘আমরা সহিংসতা কমিয়ে আনতে পারবো তখন যখন নারীরা শুধু নিরাপদই বোধ করবে না বরং তারা যখন একই সাথে সম্মানও পাবেন।’


আরো সংবাদ



premium cement
মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য : সেনাপ্রধান ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ১ হাজার টাকার জন্য পেশাদার ছিনতাইকারীরা খুন করে ভ্যানচালক হারুনকে দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় : মতিউর রহমান আকন্দ টানা ১১ জয়ে ডিপিএলের প্রথম পর্ব শেষ করলো আবাহনী দেশে করোনায় আরো একজনের মৃত্যু উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনের অংশ নিতে মানা সবল-দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার কাজ শেষ হতে কত দিন লাগবে? জনগণের শক্তির কাছে আ'লীগকে পরাজয় বরণ করতেই হবে : মির্জা ফখরুল টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল কাদের

সকল